রাজা হরিশ্চন্দ্রের কাহিনি  OR  দানবীর রাজা হরিশ্চন্দ্রের কথা

অতি প্রাচীনকালে কোশলে (অযোধ্যায়) হরিশ্চন্দ্র নামে এক রাজা ছিলেন৷ তিনি যেমন দাতা, তেমনি ধার্মিক এবং সত্যবাদী ছিলেন৷ তাঁর কাছে যে যা চাইত তাই পেত৷ শীঘ্রই তাঁর সুনাম স্বর্গে ও মর্ত্যে ছড়িয়ে পড়ল৷ একদিন ইন্দ্রের সভায়, বশিষ্ঠ মুনির মুখে, বিশ্বামিত্র হরিশ্চন্দ্রের দানের সুখ্যাতি শুনলেন৷ ঋষির ইচ্ছা হল, তিনি পরীক্ষা করবেন হরিশ্চন্দ্র কেমন দাতা৷ এর কিছুদিন পরে … বিস্তারিত পড়ুন

দস্যু রত্নাকরের কাহিনি  OR রামায়ণ রচয়িতা বাল্মীকির দস্যু থেকে সাধক হয়ে ওঠার গল্প

একসময়ের বিখ্যাত দস্যু, ডাকাত বা খারাপ লোক রত্নাকর ধ্যান করে পরিণত হয়ে গেলেন মহাকবি বাল্মীকিতে। রচনা করলেন রামায়ণের মতো মহাকাব্য। খারাপ মানুষও শ্রেষ্ঠ প্রতিভাধর হয়ে উঠতে পারেন, যদি বিধাতা তার উপরে দয়া করেন। ঠিক এরই যেন যথার্থ উদাহরণ বাল্মীকি। কারণ তিনিও একসময়ে প্রতাপশালী ডাকাত ছিলেন, বনের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থাকতেন, সুযোগ বুঝে মানুষের সব … বিস্তারিত পড়ুন

নাট্য কবিতা হিসাবে কর্ণকুন্তী সংবাদ’-এর মূল্যায়ন করো।

পাশ্চাত্য সৃষ্টিমুুখীন সভ্যতার অভিঘাতে সৃষ্ট নবজাগরণের আলোয় আলোকিত জোড়াসাঁকো ঠাকুর পরিবারের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। জন্ম ৭মে,১৮৬১ সাল এবং মৃৃত্যু ৭আগস্ট, ১৯৪১ সাল। সমস্ত জীবনে অজস্র কাব্য, নাটক, গল্প আদির স্রষ্টা। এই কবি তাঁর ‘গীতাঞ্জলি’ নামক গ্রন্থটির জন্য ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই সর্বকনিষ্ঠ সন্তানটি ছোট থেকেই প্রাচ্য ও … বিস্তারিত পড়ুন

এবার ফিরাও মোরে কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথের যে গভীর মানব প্রীতির পরিচয় রয়েছে তা আলোচনা করো।

যে শ্রেয় মানুষের আত্মাকে দু:খের পথে দ্বন্দ্বের পথে অভয় দিয়ে এগিয়ে নিয়ে চলে সেই শ্রেয়কে আশ্রয় ক’রেই প্রিয়কে পাবার আকাঙ্ক্ষাটি চিত্রায় ‘এবার ফিরাও মোরে’ কবিতাটির মধ্যে সুস্পষ্ট ব্যক্ত হয়েছে। বাঁশির সুরের প্রতি ধিক্কার দিয়েই সে কবিতার আরম্ভ।……মাধুর্যের যে শান্তি, এ কবিতার লক্ষ্য তা নয়।….বিরাট্‌চিত্তের সঙ্গে মানবচিত্তের এই সংঘাত যে কেবল আরামের, কেবল মাধুর্যের তা নয়। … বিস্তারিত পড়ুন

মেঘনাদবধ কাব্যের নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।

রামায়ণ এ যেভাবে রাম রাবণের যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিলো এখানেও সেই কাহিনী ই বর্ণনা আছে। কিন্তু রামায়ণে রাবণ ছিলো রাক্ষস, অত্যাচারী, পাষন্ড টাইপের আর মেঘনাদবধ কাব্যে লেখক মুল কাহিনী কে অক্ষুন্ন রেখে রাবণ কে মানবিক গুণে গুণান্বিত করেছেন। কাব্যের রাবণ হলো আদর্শ স্বামী, দেশপ্রেমিক, সাহসী বীর, পুত্র বাৎসল্য ইত্যাদি। কাব্যের প্রধান চরিত্রগুলো হলো- ১। মেঘনাদ (যে … বিস্তারিত পড়ুন

“মেঘনাদবধ কাব‍্যে। চিত্রাঙ্গদা চরিত্রটি আলোচনা করো। OR   মেঘনাদ বধ কাব‍্যের নারী চরিত্র – চিত্রাঙ্গদা |

চিত্রাঙ্গদা চরিত্র – চিত্রাঙ্গদা মধুসূদনের অভিনব সৃষ্টি, বাল্মীকির রামায়ণে চিত্রাঙ্গদার উল্লেখ নেই, কৃত্তিবাসী রামায়ণে তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়েছে মাত্র। মধুসূদনের কাব‍্যে চিত্রাঙ্গদা আপন স্বাতন্ত্র‍্যে সুস্পষ্ট এবং তার চরিত্রে ব‍্যক্তিস্বাতন্ত্র‍্যের  পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটেছে।    কাব‍্যের প্রারম্ভে বীরবাহুর মৃত‍্যুসংবাদে লঙ্কাধিপতি রাবণ যখন শোকে মুহ‍্যমান তখন রাজসভায় চিত্রাঙ্গদার প্রবেশ। এবং চিত্রাঙ্গদার আবির্ভাবের সঙ্গে সঙ্গে রাজসভাগৃহে তার প্রভাব প্রকাশ … বিস্তারিত পড়ুন

 ‘মেঘনাদবধ কাব্যে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য প্রভাব কেমনভাবে প্রতিফলিত তা আলোচনা করো।

ভূমিকাঃ বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক মহাকাব্য রচয়িতা মাইকেল মুসূদন দত্ত ( ১৮২৪-১৮৭৩ ) । তাঁর রচিত ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ ( ১৮৬১ ) বাংলা সাহিত্যের অবিস্মরণীয় সৃষ্টিশীলতার পরিচয় দেয় । বলা হয় এ কাব্য রচনার মাধ্যমেই বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতার সূত্রপাত ঘটে । গঠন রীতির দিক নিয়ে এ মহাকাব্য বাংলা কাব্য ইতিহাসে অভিনব এবং অনন্য । শুধু ইতিহাসের … বিস্তারিত পড়ুন

‘নূতনমঙ্গল আশে ভারত সরসভাষে উদ্ধৃতিটির তাৎপর্য কীভাবে ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গল কাব্যে প্রতিভাত হয়েছে বুঝিয়ে দাও ।

নূতন মঙ্গল-এর অভিধায় ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গল ইতিহাসবোধে সমৃদ্ধ হয়ে একজন সমাজসংবেদনশীল কবি যখন মঙ্গলকাব্য লেখেন তখন তাতে খুব স্বাভাবিকভাবেই নতুন জীবনবোধের পদধ্বনি শোনার আশা করা যায়। ভারতচন্দ্র এমনটাই চেয়েছিলেন। তাই তাঁর কাব্যমধ্যে বারংবার ঘোষিত হয়েছে ‘নূতন মঙ্গল’-এর বার্তা। শুধু বার্তা নয়, উদ্বেগও। স্রোতের প্রতিমুখে চলার উদ্বেগ। রাজসভাকবির রাজফরমায়েশ আর প্রচলিত সাহিত্যকর্মকে অঙ্গীকার করেও তার অসারত্ব প্রদর্শন … বিস্তারিত পড়ুন

নীরদ নয়ন নীর ঘন সিঞ্চনে গৌরচন্দ্রিকা, না গৌরাঙ্গ বিষয়ক পদ? পদটি অনুসরণে গৌরাঙ্গের রূপ ও স্বরূপ ব্যাখ্যা করো।

রাধাকৃষ্ণের লীলারসের বর্ণনায় সার্থক ভূমিকারূপে যে পদগুলিতে চৈতন্য বর্ণনা ও রাধাকৃষ্ণ লীলারস যুগপৎ প্রকাশ পায় তাকেগৌরচন্দ্রিকা বলে। গৌরাঙ্গ বিষয়ে যে পদগুলি গৌরাঙ্গদেবের পার্থিব জীবনের ছবি মাত্র, যে পদগুলিতে তাঁকে কৃষ্ণের অবতার ঈশ্বর প্রতিমরূপে দেখা হয়েছে সেগুলি বিশুদ্ধগৌরচন্দ্রিকানয়। গৌরচন্দ্রিকার ক্ষেত্রটি হল স্বতন্ত্র। গৌরচন্দ্রিকার অর্থ সেখানে যোগারূঢ়। কেবলমাত্র পালাবদ্ধ রসকীর্তনের ক্ষেত্রেই এর বিশেষ অধিকার। বিভিন্ন পদকর্তা রচিত … বিস্তারিত পড়ুন

বড়ু চণ্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের রাধাবিরহ অবলম্বনে রাধার বিরহ-অবস্থার স্বরূপ বিশ্লেষণ করো

বড়ুচণ্ডীদাসের ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যটির মধ্যমণি হলো রাধা চরিত্র। কবি শ্রীকৃষ্ণের মাহাত্ম্য কীর্তনের উদ্দেশ্যে হয়তো কাব্য রচনা করেছিলেন। কারণ কাব্যের নাম হিসেবে আমরা ‘শ্রীকৃষ্ণসন্দর্বঃ’ (শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ) লেখা চিরকুটটির কথা স্মরণ করতে পারি। তথাপি এ কাব্যের সকল গৌরব আত্মসাৎ করেছে রাধা চরিত্রটি। মনস্তত্ত্ব সম্মত উপায়ে রাধা চরিত্রটি বিকশিত হয়ে উঠেছে কবির সুনিপুণ লেখনী-স্পর্শে। পূর্ণাঙ্গ নারী চরিত্ররূপে রাধাকে চিত্রিত করার … বিস্তারিত পড়ুন

Cloud. Wordpress › error. 二、新北市:healthy new taipei 社群.