বলা হচ্ছে তার উল্টাটাই বোঝাতে যে অলঙ্কার ব্যবহৃত হয় তাকে ব্যাজস্তুতি (Irony) বলে। শ্যামাপদ ব্যাজস্তুতি (নিন্দার্থে নয়) এবং বক্রাঘাত (নিন্দার্থে) – এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য করে পরেরটিকে Irony বলে চিহ্নিত করেছেন। কিন্তু এই ভেদ অদরকারি। “কিছুই ঘটেনি কাল। গতকাল ঘটবে না কিছুই। ভোরের কামোষ্ণ রোদে চেয়ারে এলিয়ে ঘুমেঠাসা দেহমুণ্ড, অবশ চোখের পাতা খুলি-খুলি করেও না … বিস্তারিত পড়ুন
ব্যতিরেক অলংকার কাকে বলে :- উপমান অপেক্ষা উপমেয়ের উৎকর্ষ বা অপকর্ষ দেখানো হলে যে অর্থ-সৌন্দর্য ফুটে ওঠে, তার নাম ব্যতিরেক অলংকার। উদাহরণ : (i) কলকল্লোলে লাজ দিল আজ নারীকন্ঠের কাকলি। —রবীন্দ্রনাথ (কথা/ সামান্য ক্ষতি) ব্যাখ্যা : উদ্ধৃত চরণে উপমেয় ‘নারীকণ্ঠের কাকলি, উপমান ‘কলকল্লোল’। এখানে সাদৃশ্যবাচক শব্দ নেই, আছে তারতম্য বোধক ‘লাজ দিল’ কথাটি—এর সাহায্যে উৎকর্ষ-অপকর্ষ … বিস্তারিত পড়ুন
সমাসোক্তি অলংকার কাকে বলে :- বর্ণনীয় বিষয়ের (উপমেয়) ওপর অন্যবস্তুর (উপমান) ব্যবহার আরোপ করা হলে যে অর্থসৌন্দর্যের সৃষ্টি হয়, তার নাম সমাসোক্তি অলংকার। অর্থাৎ উপমেয়ের ওপর উপমানের ব্যবহার আরোপ হলে তাকে সমাসোক্তি অলংকার বলে। উদাহরণ : (i) শুনিতেছি আজো আইম প্রাতে উঠিয়াই, ‘আয়’ ‘আয়’ কাঁদিতেছি তেমনি সানাই। —নজরুল ইসলাম সংকেত : যে কান্না মানুষের পক্ষে … বিস্তারিত পড়ুন
পংক্তি আর চরণ নিয়ে প্রায় অনেকেই বিভ্রান্তিতে পড়েন। কেউ কেউ মনে করেন- পংক্তি আর চরণ একই বিষয়। আবার কেউ মনে করেন- পংক্তি আর চরণ দুটো আলাদা বিষয়। নিম্নে পংক্তি ও চরণের পার্থক্য সম্পর্কে অালোকপাতের চেষ্টা করছিঃ ★পংক্তি/লাইনঃ এক লাইনে সাজানো শব্দগুলোকেই পঙক্তি বলা হয়। তাহলে কবিতায় আমরা যে লাইন সাজাই সেগুলোর প্রত্যেকটিকে আমরা পঙক্তি … বিস্তারিত পড়ুন
যতি চিহ্ন ভাষাকে লিখে প্রকাশ করার জন্য আমরা বর্ণের ব্যবহার করেথাকি।ভাষাকে লিখিয়া প্রকাশ করার জন্য আমাদেরকে কিছু সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করতে হয়। আর এই চিহ্নগুলোকে যতিচিহ্ন বলাহয়।মুখের কথাক লিখিয়া প্রকাম করার সময় কমবেশি থামা বোঝাতে যে চিহ্ন ব্যবহৃত হয়, সেগুলোকে যতিচিহ্ন বলে। বক্তব্যকে স্পষ্ট করতে কিছু চিহ্ন ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যতি চিহ্নকে, বিরাম চিহ্ন বা … বিস্তারিত পড়ুন
অক্ষর কাকে বলে কোনো শব্দের যতটুকু অংশ একটানে বা এক সাথে উচ্চারিত হয়, তাকে অক্ষর বলা হয়। ছন্দ বিজ্ঞানের ভাষায় অক্ষরকে ‘দল’ বলা হয়। যেমন: আমি। আমি = আ + মি (এই শব্দটিতে দুটি অক্ষর আছে)। অক্ষর কত প্রকার ও কি কি অক্ষর দুই প্রকার হয়ে থাকে। যেমন– ১। স্বরান্ত অক্ষর, ও ২। ব্যঞ্জনান্ত অক্ষর। … বিস্তারিত পড়ুন
বিষয়ীর (উপমানের) সিদ্ধ অধ্যবসায় হলে, অর্থাৎ উপমান উপমেয়কে সম্পূর্ণরূপে গ্রাস করে ফেললে এবং সেই কারণে উপমেয়ের কোনো উল্লেখ না থাকলে যে অর্থসৌন্দর্যের সৃষ্টি হয়, তারই নাম সাধারণ অতিশয়োক্তি। অতি সহজ ভাবে বললে, উপমেয় লুপ্ত এবং উপমান প্রবল হলে তখন তাকে অতিশেয়োক্তি বলে। উদাহরণ : (i)মুকুতামণ্ডিত বুকে নয়ন বর্ষিল উজ্জ্বলতর মুকুতা! —মধুসূদন (মেঘনাদবধকাবা/৬ষ্ঠ গ) সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা : … বিস্তারিত পড়ুন
অপশ্রুতি (ইংরেজি: Apophony বা Ablaut) বলতে কোন শব্দের স্বরধ্বনি বা ব্যঞ্জনধ্বনির যে পরিবর্তনের মাধ্যমে শব্দটির ব্যাকরণিক ভূমিকা পরিবর্তন ঘটে, তাকে বোঝায়। উদাহরণস্বরূপ, ইংরেজি ভাষাতে নিচের উদাহরণগুলির মত করে স্বরধ্বনির পরিবর্তনের মাধ্যমে ক্রিয়ার কাল, সকর্মকতা/অকর্মকতা কিংবা বিশেষ্যের বচনের পরিবর্তন নির্দেশিত হতে পারে। sing, sang, sung, song rise, raise bind, band goose, geese একইভাবে ব্যঞ্জনধ্বনির পরিবর্তনের মাধ্যমেও ব্যাকরণিক … বিস্তারিত পড়ুন
বক্রোক্তি: বক্রোক্তি কথার অর্থ বাঁকা কথা। সোজাসুজি কোন কথা না বলে প্রশ্ন বা স্বরবিকৃতির দ্বারা বাঁকা ভাবে বলায় যে অলঙ্কারের সৃষ্টি হয় তার নাম বক্রোক্তি। বক্তা তাঁর বক্তব্যে কি কথা কি ভাবে বলতে চান তা সঠিক ভাবে জেনেও শ্রোতা অনেক সময় ইচ্ছে করে তাকে একটু বাঁকিয়ে ও ভিন্ন অর্থে গ্রহণ করলে তা বক্রোক্তি অলঙ্কার হয়। উদাহরণ: … বিস্তারিত পড়ুন
বাংলা ছন্দের প্রকারভেদ : বাংলা কবিতার ছন্দ মূলত ৩টি- স্বরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত ও অক্ষরবৃত্ত । তবে বিংশ শতক থেকে কবিরা গদ্যছন্দেও কবিতা লিখতে শুরু করেছেন। এই ছন্দে সেই সুশৃঙ্খল বিন্যাস না থাকলেও ধ্বনিমাধুর্যটুকু অটুট রয়ে গেছে, যে মাধুর্যের কারণে ধ্বনিবিন্যাস ছন্দে রূপায়িত হয়। নিচে সংক্ষেপে ছন্দ ৩টির বর্ণনা দেয়া হল। স্বরবৃত্ত ছন্দ : ছড়ায় বহুল ব্যবহৃত … বিস্তারিত পড়ুন
