যতি চিহ্ন
ভাষাকে লিখে প্রকাশ করার জন্য আমরা বর্ণের ব্যবহার করেথাকি।ভাষাকে লিখিয়া প্রকাশ করার জন্য আমাদেরকে কিছু সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করতে হয়। আর এই চিহ্নগুলোকে যতিচিহ্ন বলাহয়।মুখের কথাক লিখিয়া প্রকাম করার সময় কমবেশি থামা বোঝাতে যে চিহ্ন ব্যবহৃত হয়, সেগুলোকে যতিচিহ্ন বলে। বক্তব্যকে স্পষ্ট করতে কিছু চিহ্ন ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যতি চিহ্নকে, বিরাম চিহ্ন বা বিরতি চিহ্নও বলা হয়। আর সেই চিহ্নগুলো হলো—
১।দাড়ি( ।):- একটি বাক্য যখন আমরা শেষ করব তখন দাড়ি চিহ্নটি ব্যবহার করতে হয়। দাড়ি চিহ্নকে একটি আলোচনার শেষে ব্যবহার করতে হয়। যেমন-
আমরা বাংরাদেশে বাস করি।
আমরা মাঠে ফুটবল খেলি।
রুপা খুব সুন্দরী মেয়ে।
রুবি একজন রাগি মিয়ে।
২।কমা (,):-
বাক্যের মধ্যে সামান্য বিরতি নেওয়ার জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে কমার ব্যবহার হয়ে থাকে। যেমন-
সে বলল যে, আজ স্কুল খোলা।
রহিম, কারিম, জামার ও কালাল তারা সকলেই ভাল ছাত্র।
তুমি যেই লেখাটা দেখছ, সেটা আমার নিজের হাতের লেখা।
আল্লা রাব্বুল আলামিন বলেছেন যে, নিশ্চই ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা।
হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগল এগুলো সব গৃহপালিত প্রাণী।
৩। সেমিকোলন (;):- একই ধরনের বাক্যকে পাশাপাশি ব্যবহারের সময় এই চিহ্নকে ব্যবহার করা হয়। যেমন-
আমি জুস পছন্দ করি; আর সে আরসি পছন্দ করে।
যেকোন কিতাবের সমালোচনা করা সহজ; কিন্তু বই লেখা অত সহজ বিষয় নয়।
তিনি পড়েচে বিজ্ঞান; পেশা ব্যংকার; আর নেশা বই পড়া।
সে মাস্টার; একইসাথে একজন ইমাম।
সে মদ পছন্দ করে; আর আমি পানি।
৪।প্রশ্নচিহ্ন (?):- সাধারণত কোন কিচু জানতে চাওয়ার জন্য এই চিহ্নটি ব্যবহার করতে হয়। যেমন-
তুমি কোথা থেকে এসেছ?
তোমার নাম কি?
কোনটি তোমার কল?
কেমন আছ?
কোথায় যাও?
এটা কার ব্যাগ?
তুমি কোন রং পছন্দ কর?
৫।সিস্ময়চিহ্ন (!):- দুঃখ, কষ্ট, ব্যাথা, আনন্দ ও হতাশা প্রকাশ করার জন্য যে চিহ্ন ব্যবহার করতে হয় তাকে বিস্ময় চিহ্ন বলা হয়। যেমন-
হায় আমার যদি একটা চাকরি থাকত!
হায় আমার কি কষ্ট!
হায় আমি পরীক্ষায় ফেল করেছি!
আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি!
আমি রুবিকে অনেক ভালবাসি!
আমি পরীক্ষায পাশ করেছি!
কি মজা আজ আমার জন্মদিন!
হুররে আমারা পিকনিকে যাব!