এখন দেখা যাক, A,E,I,O বচনের কোন কোন পদ ব্যাপ্য এবং কোন কোন পদ অব্যাপ্য-
সামান্য সদর্থক বচন বা A বচন : “সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব“— এই A বচন টিতে বিধেয় পদ “মরণশীল জীব” উদ্দেশ্য পদ “মানুষ” শ্রেণীর সকল সদস্য সম্পর্কে স্বীকার করা হয়েছে। অর্থাৎ উদ্দেশ্য পদটির দ্বারা নির্দেশিত জাতির সমগ্র বা সবটুকুকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেই কারণে উদ্দেশ্য পদ “মানুষ” পদ টি ব্যাপ্য হয়েছে।
কিন্তু বিধেয় পদ “মরণশীল জীব” পদ ব্যাপ্য হয় নি। কারণ– বিধেয় পদটির দ্বারা নির্দেশিত জাতির সমগ্র বা সবটুকু অংশ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে কিনা তার স্পষ্ট কোনো ইঙ্গিত নেই। “মরণশীল” বলতে “মানুষ” ছাড়াও অন্যান্য জীব (যেমন কুকুর, বিড়াল, ছাগল, গরু, ইত্যাদি) কে বোঝায়। বস্তুত “মানুষ” হল মরণশীল প্রাণীদের একটি বিশেষ অংশ। সুতরাং বিধেয় পদ ব্যাপ্য হয় নি।
তাই পূর্বোক্ত আলোচনা থেকে সিদ্ধান্ত করা যেতে পারে যে A বচন কেবলমাত্র উদ্দেশ্য করে বিধায়কের ব্যাপক করে না।
উল্লেখ্য যে সকল A বচন এর উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদ সম ব্যাপক, সেই সকল এ বচনের ক্ষেত্রে পূর্বোক্ত নিয়মটি গ্রাহ্য নয়। এই সকল A বচনের ক্ষেত্রে উদ্দেশ্য এবং বিধেয় উভয় পদ ব্যাপ্য। যেমন—-
১) সংজ্ঞার্থ জ্ঞাপক বচন। (A সকল ত্রিভুজ হয় তিনটি বাহু দ্বারা বেষ্টিত সমতল ক্ষেত্র)
২) পুনরুক্তি মূলক বচন। (A সকল গাছ হয় উদ্ভিদ)
৩) উদ্দেশ্য ও বিধেয় নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য পথ যুক্ত বচন। (A মাউন্ট এভারেস্ট হয় পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ)
সামান্য নঙর্থক বা E বচন:
“কোনো মানুষ নয় সর্বাঙ্গসুন্দর“।—- এই E বচন টি তে বিধেয় পদ সর্বাঙ্গসুন্দর উদ্দেশ্য পদ মানুষ শ্রেণির সম্পূর্ণ জাতি সম্পর্কে অস্বীকার করেছে। অর্থাৎ এই পদটির সম্পূর্ণ ব্যক্তার্থ গৃহীত হয়েছে। ফলে মানুষ এই উদ্দেশ্য পদ ব্যাপ্য।
কিন্তু বিধেয় পদটির সম্পর্কে স্পষ্ট ভাবে কিছু বলা হয়নি। তবে বচনটি থেকে একথা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে মানুষ শ্রেণীটি সমগ্রভাবে সর্বাঙ্গসুন্দর শ্রেণীর বহির্ভূত। যুক্তি বিজ্ঞানে কোনো একটি পদ অস্বীকার করা অর্থ পদটির সম্পূর্ণ ব্যর্থ কে অস্বীকার করা। এখানে সর্বাঙ্গসুন্দর পট্ট্রি মানুষ সম্পর্কে অস্বীকার করায় ব্যাপ্য হয়েছে।সুতরাং E বচনের সাধারণ নিয়ম হলো E বচন উভয় পদকে ব্যাপ্য করে।