গুন:-
একটি নিরপেক্ষ বচনের উদ্দেশ্য ও বিধেয় দুটি পদের সম্বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এই সম্বন্ধ স্বীকৃতিমূলক বা অস্বীকৃতি মূলক হতে পারে। উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয় পদ এর স্বীকৃতি বা অস্বীকৃতিকে বচনের গুন বলে।
গুন অনুযায়ী নিরপেক্ষ বচন 2 প্রকার। যথা-
i) সদর্থক বচন।
ii) নঙর্থক বচন।
১)সদর্থক বচন:-
যে বচনে বিধেয় পদ উদ্দেশ্য পদ সম্পর্কে স্বীকার করে তাকে সদর্থক বচন বলে। সংযোজক এই সদর্থক চিহ্নটিকে হয়, হও, হন, ইত্যাদি শব্দের দ্বারা প্রকাশ করে। যেমন-
১) সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব। এবং
২) কোন কোন মানুষ হয় জ্ঞানী।
উপরের 1 নং বচনে “সকল মানুষ” সম্পর্কে “মরণশীলতা”। 2 নং বচনের “কোন কোন মানুষ” সম্পর্কে “জ্ঞান” এর অস্তিত্ব স্বীকার করা হচ্ছে বলে এরা সদর্থক বচন।
২) নঙর্থক বচন:-
যে বচনে বিধেয় পদ উদ্দেশ্য পদ সম্পর্কে অস্বীকার করে তাকে নঞর্থক বচন বলে। সংযোজক এই নঞর্থক চিহ্নটিকে নয় নও নই নন ইত্যাদি শব্দের দ্বারা প্রকাশ করে। যেমন–
১) কোনো মানুষ নয় পশু। এবং
২) কোনো কোনো মানুষ নয় জ্ঞানী।
উপরের 1 নং বচনে “সকল মানুষ” সম্পর্কে “পশু” গুন টি এবং 2 নং বচনে “কোন কোন মানুষ” সম্পর্কে “জ্ঞান” এর অস্তিত্ব অস্বীকার করা হচ্ছে বলে এটা নঙর্থক বচন।
পরিমাণ:-
নিরপেক্ষ বচনের উদ্দেশ্য পদ এর দ্বারা নির্দেশিত জাতি বা শ্রেণীতে অর্থাৎ উদ্দেশ্য পদ ব্যক্তার্থ (denotation) কে বলা হয় পরিমাণ।
পরিমাণ অনুযায়ী নিরপেক্ষ বচন কয় প্রকার। যথা–
১) সামান্য বচন।
২) বিশেষ বচন।
সামান্য বচন:-
যে বচনের বিধেয় পদ টি উদ্দেশ্য পদ এর সমগ্র জাতি বা শ্রেণী সম্পর্কে স্বীকার বা অস্বীকার করে তাকে সামান্য বচন বলে।যেমন–
সকল মানুষ হয় মরণশীল।
এই বচন টি তে বিধেয় পদ মরণশীল গুনটি উদ্দেশ্য পদ সকল মানুষ সম্পর্কে শিকার করা হয়েছে।
অনুরূপভাবে——-
কোনো মানুষ নয় ত্রুটিহীন।
এই বচন টি তে “ত্রুটিহীনতা” গুন টি “সকল মানুষ” সম্পর্কে অস্বীকার করা হয়েছে।
বিশেষ বচন:-
যে বচনে বিধেয় পদ উদ্দেশ্য পদ এর দ্বারা নির্ধারিত জাতি বা শ্রেণীর একটি অংশ সম্পর্কে স্বীকার বা অস্বীকার করে,তাকে বিশেষ বচন বলে। যেমন-
কোন কোন মানুষ হয় প্রাণী।
এখানে “প্রাণী” এই বিধেয় পদ টি উদ্দেশ্য পদ “মানুষ” শ্রেণীর একটি অংশ সম্পর্কে স্বীকার করেছে।
অনুরূপভাবে:–
কোনো কোনো মানুষ নয় মূর্খ।
এই বচন টি তে “মূর্খ” এই বিধেয় পদ টি “মানুষ” শ্রেণীর একটি অংশ সম্পর্কে অস্বীকার করেছে।