যোগশিক্ষার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট আলোচনা করো

ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা প্রয়োজন যেখানে যোগচর্চাকারীদের দক্ষতার মূল্যায়ন করে তাদের শংসিতকরণের রীতি থাকবে। মূল্যায়নের সময় কোন্ যোগচর্চা করা প্রয়োজন এবং কীভাবে দক্ষতা প্রকাশ করা দরকার, তা অবশ্যই যাচাই করতে যাবে। আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃত কোনও মানদণ্ডের সাহায্যেই দক্ষতার এই মূল্যায়ন সম্ভবপর হবে। জ্ঞান, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে একজন পেশাদার যোগচর্চাকারীকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা … বিস্তারিত পড়ুন

অষ্ট যোগ কী? যোগ শিক্ষায় এর ভূমিকা আলোচনা করো।

অষ্টাঙ্গযোগ বা রাজযোগ (Astanga Yoga or Raja Yoga) যোগশাস্ত্র মতে চিত্ত পাঁচ প্রকার। যথা—ক্ষিপ্ত, মূঢ়, বিক্ষিপ্ত, একাগ্র ও নিরুদ্ধ। রাজযোগের প্রবর্তক ঋষি পতঞ্জলির মতে চিত্ত নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আত্মোপলব্বিই মুক্তি লাভের উপায়। কিন্তু চিত্তকে সর্বাত্মক চেতনার অভিমুখে আনা সহজ কাজ নয়। পতঞ্জলি এই চিত্তকে শুদ্ধ, শান্ত স্থিরীকৃত করে আত্মোপলব্ধির অতিচেতন অবস্থায় পৌছানোর জন্য আটটি সোপানের নির্দেশ দিয়েছেন। তার এই যোগসাধনার সূত্রগুলি অষ্টাঙ্গযোগ (Eight Limbled Yoga) বলা হয়। মহর্ষি পতঞ্জলির অষ্টাঙ্গযোগের অঙ্গ বা সাধনগুলি হল যম (Yama), নিয়ম (Niyama), আসন (Asana), প্রাণায়াম (Pranayama), প্রত্যাহার (Pratyahara), ধারণা (Dharana), ধ্যান (Dhyana) এবং সমাধি (Samadhi)। এগুলি দেহের প্রত্যঙ্গ অর্থাৎ তারা সবাই একই দেহশিক্ষার অন্তর্গত ও প্রতিটি অপরিহার্য। প্রত্যেকটির বিজ্ঞানসম্মত ও নির্দিষ্ট যুক্তিসম্মত ধাপ বিদ্যামান। পতঞ্জলি তার যোগসূত্রে দর্শন এবং যোগশিক্ষার সারমর্ম জুগিয়েছেন অত্যন্ত বৈজ্ঞানিক ও শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে। আত্মশক্তি উপলব্বিই যোগের মূল উদ্দেশ্য। যে নিরাকার শক্তির উপস্থিতিতে আমরা জীবিত থাকি, যে শক্তি সমস্ত জীব ও জড়ের মধ্যে বিরাজমান, যে শক্তি সমস্ত বিশ্বব্ৰত্মাণ্ডে প্রকাশিত, সেই অনাদি ও অনন্ত শক্তি জীবদেহে আত্মা হিসেবে, পৃথিবীতে ঈশ্বর হিসেবে, বিশ্বব্ৰত্মাণ্ডে পরমাত্মা হিসেবে অভিহিত। এই শক্তির সম্যক উপলব্ধি ও নিয়ন্ত্রণই যোগের লক্ষ্য। এই পরম লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য যোগী বাইরের জগৎ ছেড়ে তার নিজের মধ্যেই আত্মোপলব্বির নিবিড় সাধনা করেন। আত্মার উপলব্বি হলে ঈশ্বর ও পরমাত্মার উপলব্বিও সম্ভব হয়। এরজন্য বিভিন্ন যোগী বিভিন্ন পদ অবলম্বন করেন। 

শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য যোগব্যায়ামের গুরুত্ব।

আধুনিক জীবনশৈলী ও যোগের দ্বারা সুস্বাস্থ্য—আধুনিক মানুষের জীবনশৈলী তার স্বাস্থ্যরক্ষার ক্ষেত্রে একাধিক চ্যালেঞ্জ এনেছে। বিশ্বের সর্বত্রই আধুনিক  জীবনশৈলী অসংখ্য মানুষের নানারকম রোগব্যাধির অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছে। উদ্বেগ-উত্তেজনা, বেঠিক  খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক পরিশ্রম বিমুখ জীবনযাত্রায় ডেকে আনছে স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষমতার অবনতি এবং মানুষকে ডায়াবেটিস, হাঁপানি, হৃদরোগ, বিপাকীয় অসুস্থতা এবং ক্যান্সারে আক্রান্ত করছে। প্রশ্ন হল এসব আধুনিক স্বাস্থ্য সমস্যার  সমাধানসূত্র কী যোগে নিহিত রয়েছে? যেহেতু এসব সমস্যার মূলে রয়েছে ভ্রান্ত জীবনশৈলী, তাই এগুলির প্রতিরোধে যোগের ভূমিকা খুব মূল্যমান। সেইসঙ্গে এটাও প্রমাণিত হয় যে, বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতাকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখা ঠিক নয়। জীবনশৈলী ও মানসিক চাপজনিত বিভিন্ন সমস্যার সমাধানসূত্র যোগে রয়েছে। রোগ প্রতিরোধ, বিশেষ করে  মানসিক  চাপজনিত ব্যাধিগুলির সুষ্ঠু পরিচালনা এবং সুস্বাস্থ্যের বিকাশে যোগের  বৈজ্ঞানিক অবদান নিয়ে বিশ্বের  বিভিন্ন স্থানে গবেষণা-সমীক্ষা সম্পাদিত হয় স্বাস্থ্যের ওপর যোগের  কল্যাণকর প্রভাব কতটা সেটা জানার জন্য শারীরবৃত্ত  সম্পর্কিত, জৈব রাসায়নিক, মানসিক ও ক্লিনিক্যাল ভেরিয়েবল বা ভেদগুলিকে নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার  সাহায্যে খতিয়ে দেখা হয় গবেষণার ফলাফল প্রমাণ করেছে যে অনুশীলনকারীর স্নায়ুতন্ত্র ও অন্তঃক্ষরা ব্যবস্থাকে চালিত  করে তারস্বাস্থ্যের কোশঘটিত ও আণবিক দিকগুলির ওপর যোগ অনুকূল প্রভাব ফেলে থাকে। যোগের সাহায্যে যে ভারসাম্য অর্জিত হয় তা অনুশীলনকারীর প্যারাসিমপ্যাথেটিক ব্যবস্থা শক্তিশালী করে শারীরবৃত্তের ক্ষয় রোধ করে এবং বার্ধক্যগ্রস্ততাকে মন্থর করে দেয়। যোগচর্চায় দেহে যে আপেক্ষিক হাইপো মেটাবলিক অবস্থা সৃষ্টি হয় তা মানসিক চাপ সহ্য করার ক্ষমতাকে বহুলাংশে বর্ধিত করে। গবেষণা-সমীক্ষাগুলি আরও প্রমাণিত করেছে। যে যোগের দ্বারা দৈহিক ও বোধশক্তির বিকাশ ঘটে, উন্নতি ঘটে দেহের তাপনিয়ন্ত্রণকারী ব্যবস্থায়, বৃদ্ধি পায় দেহের নমনীয়তা ও মানসিক চাপ সহনের ক্ষমতা। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা মজবুত হয়ে ওঠার দরুন রোগ সংক্রমণের আশঙ্কাও হ্রাস পায়। হাইপারটেনশন, হৃদযন্ত্রের রক্ত সঞালক ধমনি বা করোনারি আর্টারির ব্যাধি এবং ডায়াবেটিসের প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতির আনুষঙ্গিক হিসেবে যোগের কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে। এসব রক্তব্যাধির চিকিৎসায় ওষুধ প্রয়োগের মাত্রা যোগের প্রভাবে হ্রাস পেয়ে থাকে এবং কার্ডিও ভাসকিউলার বা হৃদরোগের জটিলতা দূর করতেও যোগের ইতিবাচক ভূমিকা স্বীকৃতি পেয়েছে। যোগের কল্যাণকর ভূমিকা ত্রিস্তরীয়। দৈহিক স্তরে যোগ স্বাস্থ্য ও সুস্থতার অন্যতম অবলম্বন; দ্বিতীয় স্তরে মনের একাগ্রতাকে সুনিশ্চিত করে, মানসিক চাপ থেকে রেহাই দেয় ও কর্মক্ষমতা বাড়ায়; এবং তৃতীয় আত্মিক স্তরে যোগের দ্বারা মানবিক গুণাবলির বিকাশ ঘটে, জীবনে শান্তি ও স্বস্তি এনে দেয়

যোগ শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

যোগ শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য (Aims and objectives of Yoga Education) : যোগ শিক্ষার লক্ষ্য স্থির করে তার দর্শন শিখন পদ্ধতির বিশেষ বা নির্দিষ্ট ক্ষেত্রগুলি নিয়ে আলোচনা ও নির্দেশ  দান করে দর্শন। সন্দেহাতীত ভাবে যে কোনো ক্ষেত্রের লক্ষ্যের প্রধান উৎসস্থল হল তার দর্শন। যোগশিক্ষার  লক্ষ্য স্থির করতে হলে নিশ্চিতভাবে যোগ শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তির গুণাবলিকে প্রাধান্য দিতেই হবে। তাই বলা যায়, এটি শুধুমাত্র  মানুষের জীববিজ্ঞানগত জীবনের উপাদান নয়, মানুষের মানসিক, সামাজিক ক্ষোভিক ও আধ্যাত্মিক—সকল জীবনের অপরিহার্য উপাদান হল যোগশিক্ষা। বিভিন্ন ব্যক্তি যোগশিক্ষার লক্ষ্য সম্পর্কে তাদের মতামত দিয়েছেন। ঋষি অরবিন্দর মতে—The current status of human evolution is an intermediate stage in the evolution of being, which is on its way to the unfolding of the spirit, and the self-revelation of divinity in all things. Yoga is a rapid and concentrated evolution of being, … বিস্তারিত পড়ুন

The site is not registered with quic. Wordpress › error. 二、新北市:healthy new taipei 社群.