যোগ শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য (Aims and objectives of Yoga Education) :
যোগ শিক্ষার লক্ষ্য স্থির করে তার দর্শন শিখন পদ্ধতির বিশেষ বা নির্দিষ্ট ক্ষেত্রগুলি নিয়ে আলোচনা ও নির্দেশ
দান করে দর্শন। সন্দেহাতীত ভাবে যে কোনো ক্ষেত্রের লক্ষ্যের প্রধান উৎসস্থল হল তার দর্শন। যোগশিক্ষার
লক্ষ্য স্থির করতে হলে নিশ্চিতভাবে যোগ শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তির গুণাবলিকে প্রাধান্য দিতেই হবে। তাই বলা যায়, এটি শুধুমাত্র
মানুষের জীববিজ্ঞানগত জীবনের উপাদান নয়, মানুষের মানসিক, সামাজিক ক্ষোভিক ও আধ্যাত্মিক—সকল জীবনের অপরিহার্য উপাদান হল যোগশিক্ষা। বিভিন্ন ব্যক্তি যোগশিক্ষার লক্ষ্য সম্পর্কে তাদের মতামত দিয়েছেন।
ঋষি অরবিন্দর মতে—The current status of human evolution is an intermediate stage in the evolution of being, which is on its way to the unfolding of the spirit, and the self-revelation of divinity in all things. Yoga is a rapid and concentrated evolution of being, which can take effect in one life-time, while unassisted natural evolution would take many centuries or many births. Aurobindo suggests a grand program called sapta chatushtaya (seven quadrates) to aid this evolution.
যোগশিক্ষা এর প্রাথমিক চাহিদা হল পেশিগত সক্ষমতা, শারীরিক শক্তি, সহনশীলতা, রোগ প্রতিরাোধ ক্ষমতা, সঠিক দেহভঙ্গিমা, সুষম শারীরিক গঠন, চিত্তাকর্ষক ও দক্ষ অঙ্গ সঞ্চালন প্রভৃতি। বৃহৎ পেশি নির্ভর কার্যক্রম এবং তার সঙ্গে সুষম খাদ্যের জোগান ও দূষণমুক্ত পরিবেশ একত্রিত হলে তা শিশুর
পরিপূর্ণ বৃদ্ধি ও বিকাশকে সুনিশ্চিত করে। শারীরিক-যান্ত্রিক বা তাঙ্গিক-সক্ষমতা বলতে সাধারণত বোঝায় শরীরের অভ্যন্তরস্থ বিভিন্ন তন্ত্রগুলির দক্ষতাপূর্ণ কার্যক্রম। শ্রমসাধ্য শারীরিক কার্যক্রমে নিয়মিত এবং নির্দিষ্ট সময় ধরে অংশ নিলে তা শ্বসনতন্ত্র, সংবহনতন্ত্র, পৌষ্টিকতন্ত্র, রেচনতন্ত্রসহ অন্যান্য তন্ত্রকে এমনভাবে উত্তেজিত করে যে তন্ত্রগুলি তাদের সর্বোচ্চ সহনশীল সক্ষমতা নিয়ে কার্য করে