চরণ ও পংক্তির মধ্যে পার্থক্য লেখো।

পংক্তি আর চরণ নিয়ে প্রায় অনেকেই বিভ্রান্তিতে পড়েন। কেউ কেউ মনে করেন- পংক্তি আর চরণ একই বিষয়। আবার কেউ মনে করেন- পংক্তি আর চরণ দুটো আলাদা বিষয়। নিম্নে পংক্তি ও চরণের পার্থক্য সম্পর্কে অালোকপাতের চেষ্টা করছিঃ

 

★পংক্তি/লাইনঃ
এক লাইনে সাজানো শব্দগুলোকেই পঙক্তি বলা হয়। তাহলে কবিতায় আমরা যে লাইন সাজাই সেগুলোর প্রত্যেকটিকে আমরা পঙক্তি বলতে পারি। উদাহরণ দেখিঃ

“যত অনাচার অাছে এ সমাজে
করবোই তার দূর;”

এখানে আমরা দুটো কবিতার লাইন দেখতে পাচ্ছি।  তাহলে দুটো লাইন মানে,এখানে পংক্তি ২টা।
অর্থাৎ লাইনের সংখ্যা = পংক্তির সংখ্যা।

★চরণঃ
কবিতার যে অংশে একটি ভাব সম্পূর্ণ হয় তাকেই চরণ বলে। অর্থাৎ কবিতার প্রত্যেকটি বাক্যই হলো চরণ। কবিতার বাক্য সম্পর্কেও জানা দরকার। যেমনঃ

 

“জ্বালাবো সমাজে এক হয়ে সব সত্যের মহানূর!”

 

এটা একটি কবিতার বাক্য। অার কবিতার প্রত্যেকটি স্বার্থক বাক্যই একেকটি চরণ।
.
★দু’টোর মধ্যে মিল ও অমিলঃ
চরণের উদাহরণটা যদি আমরা দেখি তাহলে দেখতে পাচ্ছি: এটা এক লাইনে সাজানো হয়েছে।

 

“জ্বালাবো সমাজে এক হয়ে সব সত্যের মহানূর!”

 

যেহেতু,  
চরণের সংখ্যা =১, আবার, লাইনের সংখ্যা=১
সেহেতু পংক্তির সংখ্যা=১
সুতরাং বলতে পারি, এখানে চরণ আর পংক্তি একটাকেই নির্দেশ করছে। অর্থাৎ চরণ আর পংক্তি এখানে একই বিষয়।
.
কিন্তু চরণটাকে যদি ১ম উদাহরণের মতো ভেঙে সাজাই:

“জ্বালাবো সমাজে এক হয়ে সব
সত্যের মহানূর!”

এখানে লাইনের সংখ্যা = ২, তাই
পংক্তির সংখ্যা= ২
কিন্তু,  চরণ কিন্তু একটাই।

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading

Building regulations part 1. Bhogeshwari developers pen raigad. Project dm developments north west.