ব্যতিরেক অলংকার কাকে বলে :-
উপমান অপেক্ষা উপমেয়ের উৎকর্ষ বা অপকর্ষ দেখানো হলে যে অর্থ-সৌন্দর্য ফুটে ওঠে, তার নাম ব্যতিরেক অলংকার।
উদাহরণ : (i) কলকল্লোলে লাজ দিল আজ নারীকন্ঠের কাকলি। —রবীন্দ্রনাথ (কথা/ সামান্য ক্ষতি)
ব্যাখ্যা : উদ্ধৃত চরণে উপমেয় ‘নারীকণ্ঠের কাকলি, উপমান ‘কলকল্লোল’। এখানে সাদৃশ্যবাচক শব্দ নেই, আছে তারতম্য বোধক ‘লাজ দিল’ কথাটি—এর সাহায্যে উৎকর্ষ-অপকর্ষ বোঝা যাচ্ছে।
উপমেয় ‘নারীকন্ঠের কাকলি লজ্জা দিল’ উপমান ‘কলকল্লোল’কে। লজ্জা যে দেয়, সে তার শ্রেষ্ঠত্ব বা উৎকর্ষের কারণেই দেয়। এখানে ‘নারীকন্ঠের কাকলি’রই উৎকর্ষ। কিন্তু, কোন গুণে এই উৎকর্ষ, সে কারণটির স্পষ্ট উল্লেখ না থাকলেও তা অনুমান করা যায়।