বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি’ কবিতাটির ভাববস্তু বিশ্লেষণ করো।  অথবা  ‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি’ কবিতাটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।  অথবা  ‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি’ কবিতাটি অবলম্বনে কবির স্বদেশপ্রীতি ও প্রকৃতিপ্রীতির পরিচয় দাও।

জীবনানন্দ দাশের ‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি’ কবিতাটি ‘রূপসীবাংলা’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। কবিতাটিতে একদিকে কবির স্বদেশপ্রীতি অর্থাৎ জন্মভূমি বাংলাদেশের প্রতি আগ্রহ, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার কথা ব্যক্ত হয়েছে অন্যদিকে প্রকৃতিপ্রীতির পরিচয়ও ফুটে উঠেছে। বাংলাদেশের অতীত ইতিহাস ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা চিন্তা করে কবির মন আনন্দে মেতে উঠেছে। বাংলাদেশের প্রতি জীবনানন্দের ভালোবাসা ও গর্ব সম্পূর্ণরূপে মননজাত। তিনি লিখেছেন- “বাংলার … বিস্তারিত পড়ুন

অবসরের গান’ কবিতাটির ভাববস্তু বিশ্লেষণ করো।   অথবা  ‘অবসরের গান’ কবিতাটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।   অথবা  ‘অবসরের গান’ কবিতাটিতে সর্বব্যাপী নিরাশ্রয়তার যন্ত্রণা কীভাবে ব্যক্ত হয়েছে, আলোচনা করো।

জীবনানন্দ দাশের রচিত একটি বৃহত্তম কবিতা হলো ‘অবসরের গান’। ১৮টি স্তবক ও তিনটি অংশে বিভক্ত কবিতাটি ‘ধূসর পাণ্ডুলিপি’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত। কবিতাটিতে একাধিক চিত্রের সমন্বয়ে কবি পল্লীপ্রকৃতি এবং মানুষের বিবর্ণ মৃত্যু আর জীবনের পরম পরিণতির চিত্রকে তুলে ধরেছেন। কবিতাটির শুরুতেই রয়েছে পাকা ফসলে পরিপূর্ণ কার্তিক মাসের বাংলার প্রকৃতির এক অসাধারণ চিত্র। কবি জানিয়েছেন, তিনি এক পাকা … বিস্তারিত পড়ুন

সুচেতনা’ কবিতার মর্মার্থ আলোচনা করো।  অথবা  ‘সুচেতনা’ কবিতাটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।  অথবা   ‘সুচেতনা’ কবিতায় কবি শুভ চেতনার আহ্বান জানিয়েছেন- আলোচনা করো।

রবীন্দ্র পরবর্তী সময়কালে বাংলা কাব্যসাহিত্যে জীবনানন্দ দাশ একজন স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। তাঁর কবিতার মধ্যে দুটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ- ইতিহাস চেতনা ও সময়জ্ঞান। কবিতার মধ্য দিয়ে তিনি সর্বদা এক সুগভীর ব্যঞ্জনাকে প্রকাশ করেছেন। তাঁর অধিকাংশ কবিতার মধ্যেই দ্বৈত ভাবনা ব্যক্ত হয়েছে। আমাদের আলোচ্য ‘সুচেতনা’ কবিতাটিও একটি ব্যঞ্জনাধর্মী কবিতা। ‘সুচেতনা’ কবিতাটি ‘বনলতা সেন’ (১৯৩৫) কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। জীবনানন্দ দাশ নায়িকার … বিস্তারিত পড়ুন

শঙ্খ ঘোষের ‘বাবরের পার্থনা’ কবিতাটির ভাববস্তু বিশ্লেষণ করো।   অথবা  ‘বাবরের প্রার্থনা’ কবিতাটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করো। অথবা   ‘বাবরের প্রার্থনা’ কবিতাটির প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে বিষয়বস্তু আলোচনা করো।  অথবা  ‘বাবরের প্রার্থনা’ কবিতাটি ইতিহাসের কাহিনির পটভূমিতে কবির সমকালীন যুগের জীবন-ভাষ্য- আলোচনা করো।

শঙ্খ ঘোষের ‘বাবরের প্রার্থনা’ কবিতাটি ‘বাবরের প্রার্থনা’ (১৯৭৬)কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। ‘বাবরের প্রার্থনা’ কবিতাটির রচনাকাল ১৯৭৪ সাল। ১৯৭৭ সালে ‘বাবরের প্রার্থনা’ কাব্যগ্রন্থের জন্য শঙ্খ ঘোষ সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পান। ১৯৭৪ সাল বাংলা তথা ভারতবর্ষের ইতিহাসে এক দুঃস্বপ্নের কাল। সারাদেশ জরুরি অবস্থা, চারিদিকে দম বন্ধ করা এক পরিস্থিতি, তরুণ যুবসমাজ দিশাহারা, রাজনৈতিক অস্থিরতা, গুপ্তহত্যা, হিংসা- গোটা সমাজটাই দিশাহারা … বিস্তারিত পড়ুন

নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘হঠাৎ শূন্যের দিকে’ কবিতার ভাববস্তু বিশ্লেষণ করো।  অথবা  ‘হঠাৎ শূন্যের দিকে’ কবিতাটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।  অথবা  ‘হঠাৎ শূন্যের দিকে’ কবিতায় কবি নাগরিক জীবন থেকে মুক্তি প্রার্থনা করেছেন- আলোচনা করো।  

নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘হঠাৎ শূন্যের দিকে’ কবিতাটি ‘নীরক্ত করবী’ (১৯৬৫) কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। কবিতাটিতে নাগরিক জীবনের অসহায়তা ও চরম বিপন্নতার ছবি প্রকাশিত হয়েছে। কবিতাটিতে জাদু বাস্তবতা বা ম্যাজিক রিয়ালিজমের প্রভাব রয়েছে। কবিতাটি প্রতীকধর্মী। কবিতায় দুটি স্তবক রয়েছে। দুটি স্তবকের শুরুতেই রয়েছে ‘ক্রমে স্পষ্ট হয় সব’। কবি বলেছেন, শহর কলকাতার রাজপথে প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে কে সিংহ, কুকুর, হাতি … বিস্তারিত পড়ুন

এক অসুখে দুজন অন্ধ’ কবিতাটির ভাববস্তু আলোচনা করো।   অথবা   ‘এক অসুখে দুজন অন্ধ’ কবিতাটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।   অথবা  ‘এক অসুখে দুজন অন্ধ’ কবিতাটি অবলম্বনে শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের প্রেম ভাবনায় পরিচয় দাও।

শক্তি চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘এক অসুখে দুজন অন্ধ’ কবিতাটি ‘উড়ন্ত সিংহাসন’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতায় একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে প্রেমভাবনা। তিনি রবীন্দ্রনাথের মতো দেহাতীত প্রেমের কল্পনা করেননি। নরনারীর দৈহিক মিলনের মধ্য দিয়েই তিনি প্রেমের মাধুর্যকে উপলব্ধি করতে চেয়েছেন। তাই তাঁর কবিতায় প্রেম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই প্রেমকে কেন্দ্র করেই তিনি হৃদয়ের জটিলতা, বিচিত্র ভাবনা, … বিস্তারিত পড়ুন

শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘অবনী বাড়ি আছো’ কবিতাটির ভাববস্তু বিশ্লেষণ করো।  অথবা  ‘অবনী বাড়ি আছো’ কবিতাটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।  অথবা  ‘অবনী বাড়ি আছো’ কবিতা অবলম্বনে কবির অস্তিত্বের সংকটের পরিচয় দাও।

শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের সর্বাধিক জনপ্রিয় ও আলোচিত কবিতা ‘অবনী বাড়ি আছো’। কবিতাটি ‘ধর্মে আছো জিরাফেও আছো’ (১৯৬৫) কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভূক্ত। তিনটি স্তবকে বিন্যস্ত এই কবিতার প্রতিটি স্তবকের শেষেই ব্যবহৃত হয়েছে একটি প্রশ্নবাক্য- “অবনী বাড়ি আছো?” এই প্রশ্নবাক্যটি কবিতার মূল অবলম্বন। এই প্রশ্নটিকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে কবিতার বক্তব্য ও ব্যঞ্জনা। গভীর রাতে দরজা বন্ধ করে সমস্ত পাড়া … বিস্তারিত পড়ুন

সমর সেনের ‘মেঘদূত’ কবিতায় বর্ণিত প্রেমভাবনার পরিচয় দাও।  অথবা  ‘মেঘদূত’ কবিতাটির ভাববস্তু বিশ্লেষণ করো।  অথবা  ‘মেঘদূত’ কবিতাটির নামকরণের সার্থকতা বিচার |

কবি সমর সেনের ‘মেঘদূত’ কবিতাটি ‘কয়েকটি কবিতা’ (১৯৩৭) কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। মহাকবি কালিদাসের লেখা একটি বিখ্যাত প্রেমের কাব্য ‘মেঘদূত’। এই কাব্যের মধ্যে কুবেরের অনুচর যক্ষের বিরহবেদনা ও স্ত্রীর প্রতি প্রেম-ভালোবাসার অনন্য প্রকাশ ঘটেছে। কালিদাসের এই ‘মেঘদূত’ কাব্যকে অবলম্বন করে পরবর্তীকালে বিভিন্ন সাহিত্য রচিত হয়েছে। আধুনিক কবি সময় সেন ‘মেঘদূত’ কবিতায় সেই চিরন্তন প্রেমের নব মূল্যায়ণ করেছেন। … বিস্তারিত পড়ুন

অসুন্দরের মধ্যে সৌন্দর্য্যের অন্বেষণ ‘ব্যাং’ কবিতার বিষয়বস্তু- আলোচনা করো।   অথবা  বুদ্ধদেব বসুর ‘ব্যাং’ কবিতাটি সৌন্দর্যবোধের কবিতা- আলোচনা করো।  অথবা  ‘ব্যাং’ কবিতাটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।

বুদ্ধদের বসু রচিত ‘ব্যাং’ কবিতাটি ‘দময়ন্তী’ (১৯৪২) কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। কবিতাটিতে বর্ষাপ্রকৃতির প্রেক্ষাপটে ব্যাংয়ের কামনা-বাসনাময় জীবনের চিত্র বর্ণিত হয়েছে। পাশ্চাত্য সাহিত্যে অসুন্দরের মধ্যে সুন্দরের আবিষ্কার- সৌন্দর্যতত্ব রূপে স্বীকৃত। বুদ্ধদেব বসু এই তত্ত্বটিকে তাঁর ‘দময়ন্তী’ কাব্যের কবিতাগুলিতে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন। ‘দময়ন্তী’ বুদ্ধদেবের অসুন্দর কবিতার শ্রেষ্ঠ সংকলন এবং সেই সংকলনের একটি উল্লেখযোগ্য কবিতা ‘ব্যাং’। বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় … বিস্তারিত পড়ুন

পৌরাণিক অনুষঙ্গ ও যুদ্ধবিধস্ত পটভূমিতে আশার বাণী উচ্চারিত হয়েছে ‘ক্রেসিডা’ কবিতায়- আলোচনা করো।   অথবা   ‘ক্রেসিডা’ কবিতাটির বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ করো।  অথবা  ‘ক্রেসিডা’ কবিতাটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করো। 

বিষ্ণু দে রচিত ‘ক্রেসিডা’ কবিতাটি ‘চোরাবালি’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। ‘ক্রেসিডা’ একটি উল্লেখযোগ্য প্রেমের কবিতা। কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ‘কবিতা’ পত্রিকায়, তখন কবিতাটির নাম ছিল ‘মৃত্যু, প্রেম ও মহাকাল’। ট্রয়ের রাজপুত্র ট্রয়লাস এবং ক্রেসিডার প্রেম ও বিশ্বাসঘাতকতা নিয়ে হোমারের মহাকাব্যে একটি গৌণ আখ্যান রয়েছে। পরবর্তীকালে এই গৌণ আখ্যানকে কেন্দ্র করে ইউরোপে একাধিক সাহিত্য রচিত হয়েছে। যেমন- ১. … বিস্তারিত পড়ুন

Why national building regulations. Saraswat bank co operative ltd. Our team dm developments north west.