একটি ভাষাবিহীন বুদ্ধির অভীক্ষার বর্ণনা দাও।

যে বুদ্ধি অভীক্ষায় ভাষার ব্যবহার অপরিহার্য নয় তাকে অবাচনিক বা ভাষাবর্জিত অভীক্ষা বলে। এই অভীক্ষার সাহায্যে শিশু, অক্ষরজ্ঞানহীন এবং অন্য ভাষাভাষীদের বুদ্ধি পরিমাপ করা যায়। এই ধরনের অভীক্ষার উদাহরণ হলো ‘Draw a man test’, Progressive matrices test ইত্যাদি।

ভাষাবিহীন অভীক্ষা : যে ধরনের অভীক্ষায় অভীক্ষা পদ (item) ভাষাগত মহার হয় না, বরং চিহ্নগত ভাবে হয়, তাকে ভাষাবিহীন অভীক্ষা বলা হয়। আমি বিটা টেস্ট ধরনের অভীক্ষা।

উদাহরণ :ভাষাবিহীন অভীক্ষা

(i) এই অভীক্ষায় অভীক্ষা পদের বিধি

(iii) এই অভীক্ষা সকল ধরনের লোকের জন প্রযোজ্য হতে পারে।

 শিক্ষার্থীর যে সমস্ত মানসিক প্রক্রিয়াকে পরিমাপ করা হয়, সেগুলিকে আমরা অভীক্ষা ৮। বিভিন্ন ধরনের অভীক্ষা হতে পারে, যেমন— —বুদ্ধি পরিমাপের জন্য বৃদ্ধির অভীক্ষা, থাকি। পরিমাপের জন্য ব্যক্তিসত্ত্বার অভীক্ষা (Personality test), সৃজনশীলতা পরিমাপের জন্য সৃজনশীলতার অভীক্ষা ইত্যাদি। এগুলি সবই বিভিন্ন ধরনের মনোবৈজ্ঞানিক অভীক্ষা। এখানে আমরা বুদ্ধির অভীক্ষা নিয়ে আলোচনা করব। পূর্বের আলোচনায় বলা হয়েছে- মনোবৈজ্ঞানিক অভীক্ষাকে সমস্যার প্রকৃতির দিক থেকে দু-ভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব — ভাষাভিত্তিক : ভাষাবহান। বুদ্ধির অভীক্ষার ক্ষেত্রেও সামগ্রিক বিচারে এই দুই ভাগে ভাগ করে আলোচনা করা হল করা হল • ৪.৩.১.১ ভাষাগত (verbal) বুদ্ধির অভীক্ষা :

এই ধরনের অভীক্ষায় ভাষাগত অভীক্ষাপদের প্রয়োগের মাধ্যমে অভীক্ষার্থীর বুদ্ধি পরিমাপ করা হয়। ভাষাগত বুদ্ধি পরিমাপক অভীক্ষার উদাহরণ হল—স্টার্নফোর্ড সংস্করণ, বিনে সাইমন অভীক্ষা, আর্মি আলফা অভীক্ষা ইত্যাদি। ভাষাগত বুদ্ধির অভীক্ষার উদাহরণ উল্লেখ করা হল

বিনে সাইমন অভীক্ষা (Binet-Siman Scale-1905) :

ফরাসী মনোবিদ আলফ্রেড বিঁনে এবং তাঁর সহকর্মী ডাক্তার সাইমন 1905 সালে বুদ্ধি পরিমাপের এই অভীক্ষাটি প্রকাশ করেন যার প্রকৃত নাম দিয়েছিলেন “A Metrical Scale of Intelligence”. এই অভীক্ষার মূল ভিত্তি ছিল—মনোযোগ, কল্পনা, বিচারকরণ, যুক্তি ইত্যাদি মানসিক প্রক্রিয়ার সামগ্রিক ফলাফল দিয়ে বুদ্ধির পরিমাপ করা। এই অভীক্ষাটিতে বভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থীদের জন্য কাঠিন্যানুক্রমে সাজানো 30টি প্রশ্ন বা সমস্যা ছিল। কোনো শেষ বয়সের শিশুর উপর এই অভীক্ষা প্রয়োগ করে দেখা হত। শিশুটির মানসিক বিকাশ যদি যথাযথ হয় তবে সে কোন স্তর পর্যন্ত উত্তর করতে বা সমস্যার সমাধান করতে পারবে এবং সেই অনুযায়ী শিক্ষার্থী বুদ্ধির পরিমাপ নির্ণয় করা হত। যেমন—৪ বছর বয়সে কোনো ঈক্ষার্থীর স্বাভাবিক মানসিক বিকাশ হলে সে ওই অভীক্ষা থেকে 6টি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে বলে ধরে নেওয়া হয়। যদি শিক্ষার্থীটি নির্ধারিত প্রশ্নগুলির (6টি) থেকে কম উত্তর করতে পারে তাহলে ধরে নেওয়া হবে শিক্ষার্থীর বৌদ্ধিক ক্ষমতা কম এবং নির্ধারিত প্রশ্নগুলির থেকে বেশি উত্তর করতে পারলে বলা হবে শিক্ষার্থীটি উচ্চ বৌদ্ধিক ক্ষমতাসম্পন্ন।

এর একটি নতুন সংস্করণ বের হয় “Development of Intelligence in Children 1905 সালে তৈরি হওয়া এই অভীক্ষাটিতে অনেক ত্রুটি থেকে যাওয়ায় 1908 সাে নামে। অভীক্ষাটিতে প্রশ্ন বা সমস্যার সংখ্যা ছিল 58, যা বিভিন্ন বয়সানুযায়ী বিভিন্ন শ্রেণি সজ্জিত করা হয়েছিল। অভীক্ষাটি 3 থেকে 13 বছর বয়সের শিক্ষার্থীদের বুদ্ধি পরিমা

সক্ষম। এখানে প্রত্যেকটি বয়স স্তরের জন্য পৃথক এনগুচ্ছ তৈরি করা হয় এবং প্রত্যে প্রশ্নগুচ্ছে প্রশ্নের সংখ্যা ছিল 4-8 টি। শিক্ষার্থীদের উত্তরের ভিত্তিতে তাদের বৌদ্ধিক নির্ণয় করা হয়। অর্থাৎ, 10 বছর বয়সের কোনো শিক্ষার্থী ওই বয়সের জন্য তোর হলো অভীক্ষার প্রশ্নগুচ্ছের উত্তর দিতে পারলে, বলা হয় তার মানসিক বয়স হবে 10 যদি অভ গুচ্ছের থেকে কম উত্তর দিতে পারে তবে তার মানসিক বয়স কম হবে এবং নির্ধারিত প্রশ্নগুচ্ছের বাইরে গিয়ে আরও বেশি উত্তর দিতে পারলে তার মানসিক বয়স বাড়বে।

1908-এর সংস্করণ অভীক্ষাতেও কিছু ত্রুটি থেকে যাওয়ায় 1911 সালে আরেকবার সংস্করণ করা হয়। এই অভীক্ষায় প্রশ্ন বা সমস্যা সংখ্যা ছিল 54টি। 3-15 বছর বারে শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথকভাবে প্রশ্নগুচ্ছ নির্মাণ করা হয়। উদাহরণ হিসেবে 3 ও 12 বছর বয়সের জন্য নির্মিত অভীক্ষার প্রশ্নগুচ্ছের নমুণা উল্লেখ করা হল-

• বয়স স্তর—3 (তিন)

• শরীরের বিভিন্ন অংশ (চোখ, নাক, কান) দেখানো।

• দুটো অঙ্ক পুনরাবৃত্তি করা

• ছবি দেখে বিভিন্ন জিনিসের নাম করা।

• নামের সঙ্গে পদবী বলা। • ছয় শব্দ বিশিষ্ট বাক্য পুনরাবৃত্তি করা।

• বয়স স্তর–12 (বারো)

• রেখার দৈর্ঘ্য নিরূপণ।

• তিনটি প্রদত্ত শব্দ দিয়ে বাক্য গঠন।

তিন মিনিটে 60টি শব্দ বলা । • তিনটি বিমূর্ত শব্দকে ব্যাখ্যা করা।

• বিক্ষিপ্ত শব্দরাশি থেকে অর্থ খুঁজে পাওয়া ।

এই অভীক্ষাটিতে কেবল প্রশ্নের কাঠিণ্য মানের পরিবর্তন করা হয়। শিক্ষার্থীদের বৌদ্ধিক ক্ষমতা পরিমাপের পদ্ধতি 1908-এর সংস্করণের অনুরূপই অনুসরণ করা হয়। • স্টার্নফোর্ড সংস্করণ (১৯১৬) : অধ্যাপক টারম্যান, বিনে সাইমন বুদ্ধি অভীক্ষার সংস্করণে। এই ভাষাগত অভীক্ষাটি রচনা করেন, যেখানে 3 বছর থেকে 14 বছর (স্বাভাবিক প্রাপ্ত বয়স্ক ধরা হয়) পর্যন্ত ব্যক্তির বুদ্ধি পরিমাপের জন্য মোট ৯০টি অভীক্ষা পদ ছিল। অভীক্ষাটিতে | বিভিন্ন বয়সের ব্যক্তিকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করে প্রত্যেক শ্রেণির জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক অভীক্ষাপদ বা প্রশ্নসংখ্যা নির্ধারিত করা হয়। যেমন – ৩-১০ বছরের সকল ব্যক্তির জন্য প্রশ্নসংখ্যা ৬টি করে। প্রত্যেক শ্রেণির জন্য প্রশ্নসংখ্যা অনুযায়ী স্কোরও নির্ধারিত থাকে। যেমন- (৩-১০)

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading

Why national building regulations. Explore your city business guide– . Dm developments north west.