তথ্য প্রযুক্তি আইন, ২০০০-এর সহযোগিতায় ভারতে সাইবার (Cyber) নিরাপত্তার বিষয়টি বিশ্লেষণ কর | Analyse Cyber Security in India with special reference to the Information Technology Act, 2000.

মামলার বিচার (trial), বিচারিক অনুসন্ধান (inquiry), বা দরখাস্ত বা আপিল শুনানি, বা সাক্ষ্য (evidence) গ্রহণ, বা যুক্তিতর্ক (argument) গ্রহণ, বা আদেশ (order) বা রায় (judgement) প্রদানকালে পক্ষগণের ভার্চুয়াল উপস্থিতি নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যে আদালতকে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষমতা প্রদানের নিমিত্ত বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন

যেহেতু মামলার বিচার (trial), বিচারিক অনুসন্ধান (inquiry), বা দরখাস্ত বা আপিল শুনানি, বা সাক্ষ্য (evidence) গ্রহণ, বা যুক্তিতর্ক (argument) গ্রহণ, বা আদেশ (order) বা রায় (judgement) প্রদানকালে পক্ষগণের ভার্চুয়াল উপস্থিতি নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যে আদালতকে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষমতা প্রদানের নিমিত্ত বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন

১।  (১) এই আইন আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০ নামে অভিহিত হইবে।

(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

 

৩।  (১) ফৌজদারি কার্যবিধি বা দেওয়ানি কার্যবিধি বা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যে কোনো আদালত, এই আইনের ধারা ৫ এর অধীন জারীকৃত প্রাকটিস নির্দেশনা (বিশেষ বা সাধারণ) সাপেক্ষে, অডিও-ভিডিও বা অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে বিচারপ্রার্থী পক্ষগণ বা তাহাদের আইনজীবী বা সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তি বা সাক্ষীগণের ভার্চুয়াল উপস্থিতি নিশ্চিতক্রমে যে কোনো মামলার বিচার (trial), বিচারিক অনুসন্ধান (inquiry), বা দরখাস্ত বা আপিল শুনানি, বা সাক্ষ্য (evidence) গ্রহণ, বা যুক্তিতর্ক (argument) গ্রহণ, বা আদেশ (order) বা রায় (judgment) প্রদান করিতে পারিবে।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন অডিও-ভিডিও বা অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে বিচারপ্রার্থী পক্ষগণ বা তাহাদের আইনজীবী বা সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তি বা সাক্ষীগণের ভার্চুয়াল উপস্থিতি নিশ্চিত করা ব্যতীত অন্যান্য বিষয়ের ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধি বা ক্ষেত্রমত, দেওয়ানি কার্যবিধি অনুসরণ করিতে হইবে।

 

৪।  ধারা ৩ অনুযায়ী কোনো ব্যক্তির ভার্চুয়াল উপস্থিতি নিশ্চিত করা হইলে ফৌজদারি কার্যবিধি বা দেওয়ানি কার্যবিধি বা অন্য কোনো আইনের অধীন আদালতে তাহার স্বশরীরে উপস্থিতির বাধ্যবাধকতার শর্ত পূরণ হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।

৬। (১) আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০ (২০২০ সনের ১ নং অধ্যাদেশ) এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও, রহিত অধ্যাদেশের অধীন কৃত কাজকর্ম বা গৃহীত ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।

 

 ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদন মতে, বিশ্বের ১৯৪টি দেশের সাইবার নিরাপত্তায় গৃহীত আইনি ব্যবস্থা, প্রযুক্তিগত দক্ষতা, সাংগঠনিক ব্যবস্থা, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং পারস্পরিক সহযোগিতা পরিস্থিতির বিবেচনা করে মঙ্গলবার ‘গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি ইনডেক্স-২০২০’ প্রকাশ করা হয়েছে৷ তাতে বাংলাদেশ ৮১.২৭ স্কোর পেয়ে ৫৩তম স্থানে উঠে এসেছে৷ আগের বছর এ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭৮তম৷

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “শক্তিশালী সাইবার নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতিশীল অবস্থান দেখাতে পেরে বাংলাদেশ, বেনিন, রুয়ান্ডা এবং তানজানিয়ার মতো বেশ কয়েকটি দেশ এগিয়ে এসেছে৷” আইটিউ বলছে, এই দেশগুলো জাতীয় পর্যায়ে সাইবার নিরাপত্তা ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলেছে, যা সক্ষমতা উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ৷

আইটিউ-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সর্বশেষ সূচকে ১০০ স্কোর নিয়ে সবচেয়ে ভালো অবস্থায় আছে যুক্তরাষ্ট্র৷ এরপর ৯৯ দশমিক ৫৪ স্কোর নিয়ে যথাক্রমে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য ও সৌদি আরব৷ এবং ৯৯ দশমিক ৪৮ নম্বর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে এস্তোনিয়া৷

এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশের অবস্থান ১১তম৷ ৯৮.৫২ স্কোর নিয়ে এই অঞ্চলে প্রথম অবস্থানে আছে দক্ষিণ কোরিয়া৷ ভারতের আছে ৪ নম্বরে৷ চীনের অবস্থান ৮ নম্বরে এবং ১৪ নম্বরে অবস্থান পাকিস্তানের৷

বাংলাদেশের সরকারের বিজিডি ই-গভ সার্ট এর প্রকল্প পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ বলেন, “এটা সাইবার নিরাপত্তা বিধানে বাংলাদেশের ধারাবাহিক সক্ষমতারই প্রতিফলন, যা ভবিষ্যতে আরো দক্ষতার সাথে সাইবার হামলা প্রতিহত করতে উৎসাহিত করবে৷

 

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading

Why national building regulations. Burhani traders pen raigad. Garden rooms dm developments north west.