তোমার স্কুল জীবনে পাঠ্য যে কোনো একটি কবিতার কাব্যসৌন্দর্য বিচার করো।

সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি,
সারাদিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি।
আদেশ করেন যাহা মোর গুরুজনে,
আমি যেন সেই কাজ করি ভালো মনে।
ভাইবোন সকলেরে যেন ভালোবাসি,
এক সাথে থাকি যেন সবে মিলেমিশি।
ভালো ছেলেদের সাথে মিশে করি খেলা,
পাঠের সময় যেন নাহি করি হেলা।
সুখী যেন নাহি হই আর কারও দুখে,
মিছে কথা কভু যেন নাহি আসে মুখে।
সাবধানে যেন লোভ সামলিয়ে থাকি,
কিছুতে কাহারে যেন নাহি দিই ফাঁকি।
ঝগড়া না করি যেন কভু কারও সনে,
সকালে উঠিয়া আমি বলি মনে মনে।

~~কবিতাটা ছোট বেলায় পড়ার সময় মনে হতো এ একটা কবিতা একে মুখস্থ করতে হবে তাছাড়া আর কিছু না। কিন্তু এখন বুঝি এই কবিতার মাঝে কতটা ভালোবাসা, কতটা সুন্দর সাবলীল শব্দের গাঁথনী মিশে আছে। এই কবিতাটা পড়লেই বোঝা যায় লেখক কতটা সুন্দর মানসিকতা নিয়ে কবিতাটি লিখেছে, সাবলীলভাবে আমাদের নৈতিকতার বানী পোঁছে দিয়েছে এজন্য কবিতাটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে এবং অনেক প্রিয়।

কবিতাটিতে সারাদিন ভালো হয়ে চলার আহবান জানানো হচ্ছে,গুরুজনের আদেশ মান্য করতে ,ভাইবোনকে ভালোবাসতে ,তাদের নিয়ে মিলেমিশে একসাথে থাকতে, সৎসঙ্গে থাকতে ,পড়ালেখায় অবহেলা না করতে ,নিজেকে সাবধানে রাখতে,কাউকে ফাঁকি না দিতে বলা হয়েছে। সবমিলিয়ে কবিতাটিতে একজন মানুষের জীবনের সকল কিছুর অন্তনৃহীত বার্তা প্রদান করা হচ্ছে।

কবিতাটি যদি কেউ সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারে এবং সে অনুযায়ী পথ চলে তাহলে তার জীবন সার্থক।কবিতাটির মাঝে অন্যরকম এক সৌন্দর্য লুকায়িত আছে, যা আমাদেরকে আলোর পথ দেখায়,নৈতিকতার শিক্ষা দেয়।

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading

Bespoke kitchens dm developments north west. Tushar enterprises pen raigad. Kya hai tu ?.