অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকারক দিকটি মাথায় রেখে একটি ছোটগল্প রচনা করো।

ভুমিকাঃ

 সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে দিন দিন প্রযুক্তির উৎকর্ষের মাধ্যমে যে জিনিসটির সাথে আমরা সবচেয়ে বেশি সম্পর্কিত হয়ে পড়ছি, তা হলো মোবাইল ফোন। আমাদের দৈনন্দিন কাজের শুরুটাই হয় মোবাইলের এলার্মের মাধ্যমে এবং দিন শেষে ঘুমোতে যাওয়ার সময়ও মোবাইলই হয় আমাদের নিত্যসঙ্গী।এর মাঝে দিনের একটা উল্লেখযোগ্য অংশই আমরা মোবাইল নিয়ে কাটাই। সেটা হতে পারে ভিডিও gaming স্ট্রিমিং, অডিও মিউজিক শোনা, ই-পেপার পড়া, যোগাযোগ, সময় দেখা বা গেম খেলা সহ নানামুখী কাজের প্রয়োজনেই।মোবাইল (smartphone) ফোন আবিষ্কার হওয়ার পর থেকেই সময়ে সময়ে মোবাইলের প্রযুক্তি অধিক উন্নত করা হয়েছে।

আজ মোবাইল ফোন গুলো আমাদের জীবনের এক অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং এতটা জরুরি অংশ যে মোবাইল ছাড়া আমরা আমাদের জীবন কল্পনা করতে পারিনা।

কাজ-কর্ম, যোগাযোগ, ইন্টারনেট, গেমিং, মনোরঞ্জন, টিভি দেখা, গান শুনা, ভিডিও চ্যাটিং, ভয়েস কল ইত্যাদি প্রচুর কাজ আমরা আমাদের মোবাইল থেকে করে নিচ্ছি।

মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক গুলো

সব সময় বিভ্রান্ত (distract) করা 

যদি আপনি একটি স্মার্টফোন (smartphone) ব্যবহার করছেন, তাহলে এই বিষয়ে আপনি অবশই জানবেন।

কেননা, একটি স্মার্টফোন যদি আমাদের কাছে আছে তাহলে আমরা অন্য কোনো কাজে ভালো করে মন দিতে পারিনা।

কিছুক্ষন পর পর মোবাইলের মধ্যে এসএমএস চেক করা, সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল খুলে, ভিডিও দেখা, গেম খেলা ইত্যাদির ইচ্ছা আমাদের হয়ে থাকে।

আর এগুলোর কারণে আমাদের মন সব সময় ডিস্ট্রাক্ট হয়ে থাকে এবং অন্য কোনো কাজে আমরা মনোযোগ দিতে পারিনা।

সব থেকে অধিক বিভ্রান্ত বা ডিস্ট্রাক্ট আমরা মোবাইলে চলে আশা নোটিফিকেশন (notification) গুলোর থেকে হয়ে থাকি।

মোবাইলে সব সময় কিছু না কিছু নোটিফিকেশন আসতেই থাকে, আর নোটিফিকেশন টোন শুনার সাথে সাথে আমরা সেটা না দেখে থাকতে পারিনা।

আর এভাবেই মোবাইলের ফলে আমরা অন্যান্য কোনো কাজ করতে থাকলে সেই কাজের থেকে বার বার ডিস্ট্রাক্ট হয়ে যাই।

স্বাস্থ্য নিয়ে সমস্যা 

দেখুন যদি আপনি অতিরিক্ত পরিমানে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন, তাহলে অবশই আপনার স্বাস্থ্যে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

যখন আপনি ঘন্টার পর ঘন্টা মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন তখন স্বাস্থ্যের সাথে জড়িত বিভিন্ন ধরণের সমস্যা গুলো দেখতে পাবেন।

যেমন, ঘুমের অভাব, মাথা বেথা, চিড়চিড়ে ভাব, রাগ ভাব, মন ভালো না লাগা এবং অনেক ক্ষেত্রে তো ডিপ্রেশন এর মতো সমস্যা গুলো দেখা দিয়ে থাকে।

আজকাল, রাত্রে ঘুমানোর আগে আমরা মোবাইলের স্ক্রিনে ঘন্টার পর ঘন্টা তাকিয়ে থাকি, গেম খেলি, ভিডিও দেখি, চ্যাটিং করি বা ইন্টারনেট ব্যবহার করি।

আর তাই, রাতের ভাবে ঘুম নষ্ট করে অত্যাধিক পরিমানে মোবাইলের স্ক্রিনে তাকানোর ফলে আমাদের ব্রেইন (brain) পর্যাপ্ত পরিমানের বিশ্রাম (rest) পেতে পারেনা।

আর এর ফলে, anxiety, anger, depression, stress ইত্যাদির মতো lifestyle disorder গুলো আমাদের মধ্যে চলে আসতে পারে।

দুর্ঘটনা হওয়ার সুযোগ 

আজকাল প্রোটেক দ্বিতীয় ব্যক্তিকে মোবাইলে কথা বলে বলে বইক বা গাড়ি চালিয়ে ভ্রমণ করা দেখা যায়।

আর এই মোবাইলে কথা বলে বলে বা গান শুনে শুনে গাড়ি চালানোর ফলে রাস্তার ওপরে সম্পূর্ণ ধ্যান থাকেনা।

এটাই কারণ যার ফলে রাস্তাঘাটে প্রচুর বইক এবং গাড়ির দুর্ঘটনা গুলো দেখতে পাওয়া যায়।

এমনিতে মোবাইলে কথা বলে বলে গাড়ি চালানো প্রায় প্রত্যেক দেশেই একটি অপরাধ যার জন্য ট্রাফিক বিভাগ দ্বারা টাকা ফাইন নেওয়া হয়।

তবে, এই মোবাইলে কথা বলে গাড়ি চলানোর ফাইন বা শাস্তি গুলো থাকা সত্ত্বেও এখনো এই ধরণের ভুল লোকেরা করছেন।

এছাড়াও, অনেকেই আছেন যারা রাস্তাঘাটে হাটা চলা করার সময় বা রাস্তা পার করার সময় নিজের মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকেন।

আর এটাও পথ দুর্ঘটনা হওয়ার একটি অনেক বড় কারণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে।

অতিরিক্ত সময় নষ্ট হওয়া 

অবশই, মোবাইল ফোন এর ফলে আমাদের সময় গুলো কিভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সেটা আমরা বুঝতেই পারছিনা।

কেননা, কিছু ভালো কাজ করা, নিজেকে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করা, পড়াশোনা করা, নতুন স্কিল শিখা ইত্যাদি এই ধরণের কাজ গুলো করলে আমাদের সময় গুলো কাজে এসেছে বলে বলা যেতে পারে।

তবে, যদি আপনি দিনের অধিক সময় মোবাইলে গেম খেলে, সিনেমা দেখে, সোশ্যাল মিডিয়াতে চ্যাটিং করে, ইউটিউব এর মধ্যে ভিডিও দেখে, ইন্টারনেট ব্যবহার করে কাটিয়ে দিচ্ছেন, তাহলে অবশই আপনার সেই সময় গুলো নষ্ট হওয়া ছাড়া কিছুই হচ্ছেনা।

মনে রাখবেন, মোবাইল এর মাধ্যমে সেই নষ্ট করা সময় গুলো আপনি কিন্তু আর কখনো ঘুরিয়ে পাবেননা।

আপনি চাইলে দিনের বেশিরভাগ সময় নতুন কিছু শিখার জন্য বা নিজের কাজ বা পড়াশোনাতে লাগিয়ে সেই সময়ের উপযুক্ত ব্যবহার অবশই করতে পারতেন।

তবে, মোবাইলের ব্যবহার করাটা একেবারেই খারাপ বলে আমি বলছিনা।

কিন্তু, যেকোনো জিনিস এর ব্যবহার প্রয়োজন হিসেবেই করা দরকার।

নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা 

আজকাল যখন আমরা প্রায় বিভিন্ন জরুরি কাজ গুলোর জন্য একটি মোবাইলের ওপরে নির্ভর করে থাকছি তখন নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা নিয়েও একটি প্রশ্ন অবশই চলে আসছে।

আমরা দিনে রাতে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকি এবং বিভিন্ন ব্যক্তিগত photos, images, videos, file, document, bank details ইত্যাদি মোবাইলে save করে রাখি।

এক্ষেত্রে, যদি আপনার মোবাইল হারিয়ে যায় বা চুরি হয়ে যায় তখন আপনার সেই জরুরি আর্থিক বিবরণ, ফটো বা ভিডিও ইত্যাদি অন্যের হাতে পড়ার ভয় থেকে যাচ্ছে।

মোবাইল ফোনের এই ক্ষতিকর দিকটির কারণে অনেকেই অনেক ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হয়েই থাকেন।

এছাড়া, আজকাল আমরা আমাদের মোবাইলে বিভিন্ন ধরণের apps গুলো ব্যবহার করে থাকি।

আর মনে রাখবেন, এরকম প্রচুর mobile apps গুলো রয়েছে যারা আপনার mobile থেকে জরুরি ডাটা (data) এবং files গুলো চুরি করে নিতে পারে।

তাই, মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তার বিষয়টি নিয়ে একটি প্রশ্ন অবশই থেকে যাচ্ছে।

কাজে মন না বসা 

অবশই যখন অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করার একটি অভ্যেস আমাদের হয়ে যায় তখন এর ফলাফল স্বরূপে প্রচুর সমস্যা গুলো দেখা দিয়ে থাকে।

আর ধীরে ধীরে মোবাইলের প্রতি আমাদের আকর্ষণ এতটাই বেড়ে যায় যে আমরা কোনো কাজেই মন দিতে পারিনা।

বা, যদি কোনো কাজ মন দিয়েও করতে চাই, সেক্ষেত্রেও আমাদের মন বার বার মোবাইলের দিকে চলে যায়।

আপনি নিজের দপ্তরে কাজ করার সময় কয়বার মোবাইলের দিকে চোখ দিয়ে থাকেন ?

নতুন কি কি নোটিফিকেশন আসলো ? সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনো বন্ধু এসএমএস দিলো কি না ? নতুন কি ভিডিও নোটিফিকেশ পেলাম ?

এই প্রত্যেকটি প্রশ্ন আমাদের মনে ঘুরতে থাকে যার ফলে আজকাল দপ্তরেও লোকেরা বার বার মোবাইল ব্যবহার করা দেখা যায়।

আর এর ফলে, আমাদের কার্যক্ষমতা দিনের পর দিন কমে আসছে এবং কাজে কম বসছেনা।

 

পর্নো-আসক্তি

মোবাইল ফোন সুলভ হওয়ায় বর্তমানে সব বয়সী মানুষের কাছেই এটি সহজলভ্য হয়ে পড়েছে। যার ফলে বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড বেড়ে গেছে। আকাশ সংস্কৃতির ফলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তরুণরা পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে পড়ছে।

‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’ নামক একটি সংগঠনের গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, রাজধানী ঢাকার ৭৭ শতাংশ স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে পর্নোগ্রাফি-আসক্তি তৈরি হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে বিভিন্নধরনের শারিরীক সমস্যার পাশাপাশি তরুণদের মধ্যে বিকৃত যৌনাচারের প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে।

ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ার পেছনে মোবাইল ও ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা এবং এর ফলস্বরূপ পর্নোগ্রাফি-আসক্তি অন্যতম একটি কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই শিশু-কিশোরদের পর্যাপ্ত মনিটরিংয়ে রাখতে হবে। ঘরের মোবাইলে এডাল্ট কন্টেন্ট ব্লক রাখতে হবে।

 

পড়াশোনায় মন না বসা 

স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করা ছাত্রছাত্রী দের ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন একটি অনেক বড়ো বাধা বা সমস্যা হিসেবে দেখা দিচ্ছে।

কেননা, ছাত্ররা তাদের বেশিরভাগ সময় মোবাইলে গেম খেলতে, কথা বলতে, সোশ্যাল মিডিয়াতে চ্যাটিং করতে ইত্যাদি অন্যান্য বিভিন্ন কাজে নষ্ট করে থাকে।

হে, বর্তমান সময়ে পড়াশোনার ক্ষেত্রে একটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করার সুবিধা এবং উপকারিতা প্রচুর রয়েছে।

তবে, যতটা উপকার হচ্ছে তার থেকে যদি উপকার বা ক্ষতি হয়ে থাকে তাহলে সেই উপকারের লাভ কি।

পড়ার সময় সামনে মোবাইল ফোন থাকার ফলে কিছুক্ষন পর পর মোবাইলের চলে আশা নোটিফিকেশন এর ওপরে নজর পরে থাকে।

আর এটাই কারণ যার ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করার ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে পড়েন।

শুক্রাণু কমে যাওয়া

মোবাইল ফোন থেকে নির্গত হওয়া হাই ফ্রিকোয়েন্সীর ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক রেডিয়েশন শরীরের বিভিন্ন কোষ ও পুরুষের প্রজননতন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলে। মোবাইলের ক্ষতিকর তরঙ্গ শুক্রাণুর ঘনত্ব কমানো ও পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে বলে দাবি করেছেন গবেষকেরা।

ফোন ব্যবহারের পর প্যান্টের পকেটে বা জামার সাইড পকেটে রেখে দেয়ার সময় মোবাইল যথেষ্ট উত্তপ্ত থাকার ফলে এটি অন্ডকোষের চারপাশের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণ হয়। যার ফলে শুক্রাণু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এজন্য প্যান্টের পকেটে বা শরীরের স্পর্শকাতর কোন অঙ্গের বেশি কাছে মোবাইল ফোন না রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

 

মোবাইল এর প্রতি নেশা 

অবশই আপনি ঠিকই শুনছেন, আজকাল একটি মোবাইলের মধ্যে সব রকমের সুবিধা আমরা পেয়ে থাকি।

গান শুনা, গেম খেলা, সিনেমা দেখা, ইন্টারনেট এর ব্যবহার, এপ্লিকেশন গুলোর ব্যবহার ইত্যাদি।

এছাড়া, আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার করে এবং অনলাইন ওয়েব সিরিজ গুলো দেখে সময় কাটানোটা একটি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মোট কথা, একটি smartphone ব্যবহার করে আরামে সময় কাটানোর প্রচুর আলাদা আলাদা উপায় আমাদের কাছে থাকে।

আর এটাই কারণ যার জন্য মোবাইল ফোনের ব্যবহার আজ প্রায় প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই এক নেশার মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আপনি কেবল এক দিন মোবাইল ছাড়া থাকার চেষ্টা করে দেখলেই বুঝতে পারবেন যে কিভাবে আপনিও এই নেশাতেই ভুগতভুগী হয়ে রয়েছেন।

ফ্রড (fraud) হওয়া 

আজকাল মোবাইলের মাধ্যমে প্রচুর ফ্রড কাজ গুলো করা হয়।

যেমন, ভুলভাল বলে আপনার ব্যাংক এর তথ্য সংগ্রহ করে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেওয়া ইত্যাদি।

এছাড়া, এখনের আধুনিক সময়ে বিভিন্ন লোকেদের email বা inbox এর মধ্যে বিভিন্ন fake offer এর message পাঠিয়ে টাকা আদায় করার চেষ্টা করা হয়।

অতিরিক্ত খরচ 

আগেকার মোবাইল ফোন গুলো ছিল অনেক সাধারণ এবং কেবল সীমিত features এবং functions সেখানে থাকতো।

কিন্তু এখন হলো স্মার্টফোনের সময় যেখানে কিছুদিন পর পর নতুন নতুন features, functions এবং updates এর সাথে মোবাইল গুলোকে বাজারে ছাড়া হয়।

এক্ষেত্রে, একটি মোবাইল কেনার প্রায় ২ থেকে ৩ মাস পর তার থেকে অধিক ভালো মোবাইল বাজারে চলে আসছে।

আর উন্নত, ভালো এবং অধিক ফিচার থাকা মোবাইল কেনার উদ্দেশ্যে বার বার লোকেরা প্রচুর টাকা খরচ করে মোবাইল গুলো কিনেন।

তাই, যেকোনো সময় টাকা পাঠানো, অনলাইন পেমেন্ট, অনলাইন শপিং করা ইত্যাদি আমাদের হাতের মুঠোয় রয়েছে, যার জন্য খরচ প্রচুর বেড়ে গেছে।

 

মোবাইল ফোনের অন্যান্য ক্ষতিকর দিক

  • শিশু-কিশোরদের মধ্যে পারিবারিক মূল্যবোধ বিনষ্ট ও মা-বাবার উপদেশ না মানার প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
  • মোবাইলের কারণে অতিরিক্ত সেলফি তোলা বা সেলফিটিস নামের নতুন একটি মানসিক রোগ সৃষ্টি হয়েছে।
  • মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক সুবিধার জন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আবাসিক ভবন ও ফসলি জমিতে যে টাওয়ারগুলো নির্মিত হচ্ছে, সেগুলোর ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক রেডিয়েশনের ফলে মানব শরীরের পাশাপাশি গাছপালা, ফলফলাদি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
  • স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে ঘুমের সমস্যা হয় সবচেয়ে বেশি।
  • আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, মোবাইল ফোন ব্রেন, মাথা বা গলার টিউমারের কারণ হতে পারে।
  • দীর্ঘক্ষণ মোবাইলের ব্যবহার স্মৃতিশক্তি ও হার্টের উপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

উপসংহারঃ

একটি সুন্দর আধুনিক জীবন ও সুস্হ স্বাভাবিক ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পেতে হলে এখনই আমাদের মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। দল-মত নির্বিশেষে সর্ব শ্রেণী পেশার মানুষ এগিয়ে আসলেই মোবাইলের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার সম্ভব হবে। সর্বোপরি সরকারের উচ্চমহল থেকে একটি কার্যকর পদক্ষেপ আশির্বাদ হয়ে দেখা দিতে পারে হাজারো মোবাইল-আসক্ত ব্যাক্তিদের জীবনে। সে কামনাই করছি।

 

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading

Blog dm developments north west. English songs lyrics.