গিলফোর্ডের SOI মডেল বা বুদ্ধির ত্রিমাত্রিক তত্ত্ব

বুদ্ধি হল এক ধরনের মানসিক শক্তি যার সাহায্যে ব্যক্তি সুক্ষ, জটিল, বিমূর্ত বিষয়ে চিন্তা করতে পারে এবং ব্যাক্তি নতুন পরিবেশের সাথে অভিযােজন করতে পারে, বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান, দক্ষতা ও কৌশল আয়ত্ত করতে পারে। বুদ্ধির বিভিন্ন তত্ব রয়েছে। এই তত্বগুলির জটিলতা, অস্পষ্টতা অসম্পূর্ণতার কারণে মনােবিদ জে. পি. গিলফোর্ড বুদ্ধির ওপর গবেষণায় উৎসাহিত হন। গিলফোর্ড ও তাঁর … বিস্তারিত পড়ুন

বাংলা গদ্যসাহিত্যের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান আলোচনা করো।

বাংলা গদ্যসাহিত্যের বিকাশে বিদ্যাসাগর ঊনবিংশ শতাব্দীর বিরাট বিস্ময়রূপে প্রতিভাত হয়েছেন। সহজ সাবলীল ও গতিশীল বাংলা গদ্য ভাষা ও সাহিত্য সৃষ্টিতে তাঁর অবদান অসামান্য। তাঁর পূর্বে রামমোহন এবং ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের অধ্যাপকগণ বাংলা গদ্য রচনা করলেও তিনিই প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাংলা সাধু গদ্যরীতির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।সাহিত্যকর্ম: বিদ্যাসাগর ছিলেন একজন মহান সমাজসংস্কারক, তাই নির্মল সাহিত্য প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও তিনি … বিস্তারিত পড়ুন

বাংলা গদ্যের বিকাশে রামমোহন রায়ের অবদান আলোচনা করো। অথবা বাংলা গদ্য সাহিত্যের বিকাশে রাজা রামমোহন রায়ের ভূমিকা আলোচনা করো।

বাংলা গদ্য সাহিত্যের বিকাশে রাজা রামমোহন রায়ের ভূমিকা :

বাংলা গদ্য সাহিত্যের আকাশে এক অসাধারণ পুরুষ , আধুনিকতার অগ্রদূত , ভারতীয় জীবনচেতনার উন্মেষস্বরূপ হলেন রাজা রামমোহন রায়। তিনি সম্পূর্ণ সংস্কারবিহীন হয়ে হিন্দু , মুসলিম ও খ্রিস্টান ধর্মগ্রন্থ পাঠ করে স্বকীয় চিন্তায় ও মননে , লেখনীর দ্বারা যুক্তি গ্রাহ্য বিশ্লেষণে ভারতের সংস্কার আন্দোলনে ও গদ্য সাহিত্যের বিকাশে এক নতুন যুগের সূচনা করেন।

রাজা রামমোহন রায় বাংলা গদ্যের বিকাশে লেখনী ধারণ করেননি। বাংলা গদ্যে তাঁর অংশগ্রহণের মূল কারণ ছিল সমাজ সংস্কার ও সমাজ সচেতনতা। তাঁর প্রধান পরিচয় – তিনি একজন সমাজ সংস্কারক , নবজাগরণের অগ্রদূত।সতীদাহ প্রথা নিবারণকল্পে তাঁর প্রধান অস্ত্র ছিল বাংলা গদ্য ভাষা। বহুবছর ধরে লালিত শাস্ত্রাদির বাংলা গদ্যে রূপান্তর ও সমালোচনা দ্বারা সনাতন ব্রাহ্মণ্য – দম্ভের মূলে কুঠারাঘাতের মধ্যে দিয়ে তাঁর সমাজ সংস্কারের প্রথম নান্দীপাঠ। তারপর শুরু হয় বিধবা বিবাহ আন্দোলন। এক্ষেত্রেও তৎকালীন রক্ষণশীল সমাজের বিরুদ্ধে লেখনীকেই তিনি প্রধান অস্ত্ররূপে ব্যবহার করেছিলেন। ”সম্বাদ কৌমুদী ” নামে তাঁর প্রকাশিত একটি পত্রিকাতে নিজ মত সমর্থনে তিনি নানা যুক্তি ও তর্কের উপস্থাপনা করেন। এই তর্ক-বিতর্ক এবং স্বাধীন যুক্তি – যুক্ত মতামত প্রকাশ ও উত্তর – প্রত্যুত্তরের মাধ্যমে সদ্যোজাত বাংলা গদ্য যেন শৈশব থেকে যৌবনে উত্তীর্ণ হলো।

রাজা রামমোহনের সাহিত্য সৃষ্টি :

রামমোহনের সাহিত্য কীর্তির প্রধান উদাহরণ হলো সম্বাদ কৌমুদী। এই পত্রিকার মাধ্যমে তিনি রক্ষণশীল সমাজের মূলে কুঠারাঘাত করেছিলেন। এছাড়াও ছিল – বেদান্ত গ্রন্থ (১৮১৫) ; বেদান্তসার (১৮১৫) ; বিভিন্ন উপনিষদের অনুবাদ – ইত্যাদি।

সমাজ সংস্কার সম্পর্কিত বিতর্কমূলক রচনাগুলি রামমোহনের সাহিত্যকীর্তিগুলির মধ্যে অন্যতম। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল –

  • উৎসবানন্দ বিদ্যাবাগীশের সহিত বিচার ;
  • ভট্টাচার্যের সহিত বিচার ;
  • গোস্বামীর সহিত বিচার ;
  • সহমরণ বিষয়ক প্রবর্তক – নিবর্তক সম্বাদ ;
  • কবিতাকারের সহিত বিচার ;
  • ব্রাহ্মণ সেবধি ;
  • পথ্য প্রদান ;
  • সহমরণ বিষয়ক – ইত্যাদি।
  • এছাড়াও তিনি কতকগুলি ব্রহ্মসংগীত রচনা করেছিলেন এবং ” গৌড়ীয় ব্যাকরণ ” নামে একখানি ব্যাকরণ গ্রন্থ রচনা করেছিলেন – যা তাঁর মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়েছিল।

রামমোহনের গদ্য সাহিত্য পর্যালোচনা :-

রামমোহনের রচনা শৈলী ও বৈশিষ্ট সম্পর্কে কবি ঈশ্বর গুপ্ত লিখেছিলেন – ” দেওয়ানজী (রামমোহন ) জলের ন্যায় সহজ ভাষায় লিখিতেন , তাহাতে কোনো বিচার ও বিবাদঘটিত বিষয় লেখায় মনের অভিপ্রায় ও ভাবসকল অতিসহজ স্পষ্টরূপে প্রকাশ পাইত , এজন্য পাঠকেরা অনায়াসেই হৃদয়ঙ্গম করিতেন , কিন্তু সে লেখায় শব্দের বিশেষ পারিপাট্য ও তাদৃশ মিষ্টতা ছিল না।

রামমোহনের গদ্য ভাষায় ঋজুতা থাকলেও মিষ্টতা ছিল না – একথা সত্য। তার কারণ তাঁর সাহিত্য সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য ছিল সমাজ সংস্কার ও সমাজ সচেতনতা। এজন্য তিনি সাহিত্য ক্ষেত্রে শব্দের পারিপাট্যের প্রতি মনোযোগী হতে পারেননি। তবে বাংলা গদ্যের বিকাশে রামমোহনের প্রধান অবদান ছিল তিনি বাংলা গদ্যকে প্রাঞ্জল , স্বচ্ছন্দ ও সাবলীল করে তুলেছিলেন।

ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের পন্ডিত :

মুনশিরা বাংলা গদ্যকে কাহিনী ও গল্প প্রকাশের বাহন করে তুলেছিলেন। কিন্তু রামমোহন তাকে যুক্তিতর্কের নিরিখে বিশ্লেষণ করে এবং গভীর আত্মসংযমের মধ্যে দিয়ে বিষয়কে উপস্থাপিত করেছিলেন।

তাঁর সাহিত্য কীর্তি সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন – ” কী রাজনীতি , কী বিদ্যাশিক্ষা, কী সমাজ , কী ভাষা – আধুনিক বঙ্গদেশে এমন কিছুই নাই রামমোহন রায় স্বহস্তে যাহার সূত্রপাত করিয়া যান নাই। ”

বাংলা গদ্যসাহিত্যের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান আলোচনা করো।

বাংলা গদ্যসাহিত্যের বিকাশে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের অবদান আলোচনা করো

বাংলা গদ্যসাহিত্যের বিকাশে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের অবদান আলোচনা করো

বাংলা গদ্যসাহিত্য বিকাশে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের পন্ডিতদের অবদান: লর্ড ওয়েলেসলি (১৮০০) খ্রিস্টাব্দে কলকাতা লালবাজার “কলেজ অফ ফোর্ট উইলিয়াম” প্রতিষ্ঠা করলেন। বাংলা ভাষা শেখানাের কোন পাঠ্যপুস্তক না থাকায় উইলিয়াম কেরির তত্ত্বাবধানে সংস্কৃত, ফারসি, আরবি জানা পন্ডিত মনীষীদের দিয়ে বাংলা গদ্য পাঠ্যপুস্তক রচনা করতে প্রয়াসী হলেন। বাংলা গদ্য সাহিত্য বিকাশে সেইসব পন্ডিতরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাংলা সাহিত্যে … বিস্তারিত পড়ুন

শিক্ষাশ্রয়ী সমাজবিজ্ঞানের প্রকৃতি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও

শিক্ষাশ্রয়ী সমাজবিজ্ঞানের প্রকৃতি শিক্ষাশ্রয়ী সমাজবিজ্ঞান হল শিক্ষাবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞানের মিলিত রূপ। শিক্ষাশ্রয়ী সমাজবিজ্ঞানের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করলে পরিলক্ষিত হয় যে শিক্ষা ও সমাজতত্ত্বের বা সমাজবিজ্ঞানের মধ্যে একে অপরের দ্বারা পরিপুষ্ট হয়ে গড়ে ওঠে। শিক্ষাশ্রয়ী সমাজবিজ্ঞানের প্রকৃতি যে সমস্ত দিকে পরিলক্ষিত হয়, সেগুলি হল – 1. সামাজিক মিথস্ক্রিয়ামূলক শিক্ষাশ্রয়ী সমাজবিজ্ঞান প্রকৃতিগত দিক থেকে সামাজিক মিথস্ক্রিয়ামূলক। এটি সমাজ জীবনে … বিস্তারিত পড়ুন

‘টিনের তলোয়ার নাটক’ এর ‘প্রিয়নাথ’ চরিত্রটি নিয়ে আলোচনা কর।

“টিনের তলোয়ার নাটক” বাংলাদেশে পরিচিত একটি প্রসিদ্ধ নাটক, যা দেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মৌলিকতা নিয়ে ভিত্তি করে। এই নাটকটির “প্রিয়নাথ” চরিত্রটি মূলত একটি অভিনয় চরিত্র, যা এই নাটকের কাহিনীতে একটি মৌলিক ভূমিকা পালন করে। “প্রিয়নাথ” একজন চরিত্র যিনি দু:খিত, সাধুবাদী, আত্মনিবৃত্তি এবং ভালোবাসা পূর্ণ মানুষ। তার চরিত্রে একটি মৌলিক সত্তা ও সমাজের উদ্দীপনা থাকে। তিনি … বিস্তারিত পড়ুন

অধিকারের আইনগত তত্ত্বটি সংক্ষেপে লেখ।

অধিকারের আইনগত তত্ত্ব: যেসব অধিকার রাষ্ট্রের আইন কর্তৃক স্বীকৃত ও অনুমোদিত, সেগুলোকে আইনগত অধিকার বলে। আইনগত অধিকারকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন- সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার। সমাজে সুখ-শান্তিতে বসবাস করার জন্য আমরা সামাজিক অধিকার ভোগ করি। যেমন- জীবন রক্ষার, স্বাধীনভাবে চলাফেরার ও মত প্রকাশের অধিকার ইত্যাদি। নির্বাচনে ভোটাধিকার, নির্বাচিত হওয়া এবং সব ধরনের … বিস্তারিত পড়ুন

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “সাধারণ মেয়ে’ কবিতার মূলভাবটি পরিস্ফুট করো।

নারীরা স্বভাবতই তাদের আচরণে সীমাবদ্ধতার ছন্দের মাধ্যমে নিজেদের প্রকাশ করে, যা অস্তিত্বের কবিতায় পরিণত হয়।তিনি মানুষের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছেন, তার অস্থির শক্তিকে সাহিত্য, শিল্প, সংগীত এবং ধর্মের বিস্তৃত কাজে চ্যানেল করে অচেতনভাবে।এই কারণে, ভারতে, নারীদের শক্তি, সৃজনশীল শক্তির মূর্ত্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। কবিতার পেক্ষাপটঃ সাধারণ মেয়ে’ ‘পুনশ্চ’ কাব্যের একটি বিখ্যাত কবিতা | … বিস্তারিত পড়ুন

শিক্ষা দর্শন বলতে কী বোঝো? শিক্ষা এবং দর্শনের সম্পর্ক বর্ণনাকরো

শিক্ষাদর্শন একটি সামগ্রিক দর্শন যা শিক্ষাকে সুশৃংখল ও সুস্থির অভিমুখী করে তোলে শিখন ব্যবস্থাকে উপলব্ধি করা এবং তার উন্নতি সাধন করা শিক্ষা দর্শনের মৌলিক লক্ষ্য । কোন শিক্ষা ভাবনার বা শিক্ষা তত্ত্বের যে দ্বন্দ্ব ও ভ্রান্তি গুলি আছে সেগুলো দূর করা শিক্ষা দর্শনের অন্যতম কাজ । শিক্ষা ও দর্শনের সম্পর্ক দর্শনের কোনও সুস্পষ্ট সংজ্ঞা এক … বিস্তারিত পড়ুন

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “সাধারণ মেয়ে’ কবিতার মূলভাবটি পরিস্ফুট করো।

নারীরা স্বভাবতই তাদের আচরণে সীমাবদ্ধতার ছন্দের মাধ্যমে নিজেদের প্রকাশ করে, যা অস্তিত্বের কবিতায় পরিণত হয়।তিনি মানুষের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছেন, তার অস্থির শক্তিকে সাহিত্য, শিল্প, সংগীত এবং ধর্মের বিস্তৃত কাজে চ্যানেল করে অচেতনভাবে।এই কারণে, ভারতে, নারীদের শক্তি, সৃজনশীল শক্তির মূর্ত্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। কবিতার পেক্ষাপটঃ সাধারণ মেয়ে’ ‘পুনশ্চ’ কাব্যের একটি বিখ্যাত কবিতা | … বিস্তারিত পড়ুন

Home animals club. Copyright © 2024 melbourne international freight company. Yoga teacher training in bali.